৯ম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ ( পার্ট-৩, ৪র্থ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান

আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ সপ্তাহের পরিকল্পিত এ্যাসাইনমেন্ট প্রোগ্রামে  আজকে নিয়ে এলাম এই সপ্তাহে চলমান নবম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যোগ ( পার্ট-৩,  ৪র্থ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান। তাহলে শুরু করা যাক।

       

        (ক)  উত্তর: ব্যবসা পরিকল্পনা হলো একটি লিখিত পরিকল্পনা যা ব্যবসা শুরু করার পূর্বে তৈরি করা হয়। ব্যবসা পরিকল্পনা আমাদের ব্যবসা গুলিতে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।

 

        (খ)  উত্তর: সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে গঠিত শিল্পকে শিল্প বলা হয়। যে ব্যবসায় সংগঠন স্বল্প মূলধন ও জনবল নিয়ে গঠিত ও পরিচালিত হয় তাকে ক্ষুদ্র শিল্প বলে। 

          সেবামূলক ক্ষুদ্র শিল্পের মূলধন 5 লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আর সেবামূলক ক্ষুদ্র শিল্পের শ্রমিক সংখ্যা 10 থেকে 25 জন পর্যন্ত হতে পারে।

 

        (গ) উত্তর: রুহির দেখা বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন শিল্পের মধ্যে ঝুড়ি, কুলা , চেয়ার, দোলনা, ফুলদানি ইত্যাদি শিল্প কুটির শিল্পের অন্তর্গত। নিচে এই শিল্প সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।

         যে শিল্প পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় অল্প মূলধন ও সীমিত আওতায় গড়ে ওঠে, সে শিল্পকে কুটির শিল্প বলা হয়। জমি ও কারখানা ছাড়াও শিল্পের স্থায়ী সম্পদের মূল্য ৫ লক্ষ টাকার কম হয়। এ শিল্পে শ্রমিক সংখ্যা পরিবারের সদস্যসহ সর্বোচ্চ ১০ জন। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অগ্রগতিতে কুটির শিল্পের ভূমিকা ইতিবাচক। দেশের প্রায় ৯৬ ভাগ শিল্প, কুটির শিল্পের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হচ্ছে কুটির শিল্পে। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য, লালন ও বিকাশেও এ শিল্পের ভূমিকা অনেক। 

            অতএব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কুটির শিল্পের অবদান অপরিহার্য।

 

           (ঘ)  উত্তর: অবশ্যই, উদ্দীপকে প্রদত্ত তথ্য মতে এ খাতের বিকাশ সম্ভব বলে মনে করি।

             বর্তমানে কুটির শিল্প খাতের বিকাশে নারী উদ্যোক্তাদের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানত বিহীন ঋণ প্রদান করছে। কুটির শিল্পের বিকাশে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিশ্চিতরূপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া এদেশের ৯৬ ভাগ কুটির শিল্পের আওতাভুক্ত বলে এ সব শিল্পে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনা থেকে পরিচালনা ও বিকাশে কিছু উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাঁচামালের সহজলভ্যতা, চাহিদা প্রভৃতি ওই সব উপাদান এর অন্তর্ভুক্ত। কাঁচামাল সহজলভ্য হলে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কাজ সহজ হয়ে যায়।আর শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন ও পরিচালনা অব্যাহত রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ দক্ষ শ্রমিক প্রয়োজন। ফলে প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন হয় ও ব্যয় কমে যায়। আবার পণ্য শুধু উৎপাদন করলেই হয় না, এর বিপণনও জরুরি। এজন্য স্থানীয় বৈদেশি চাহিদা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়াও শিল্পের বিকাশে পুঁজির সহজ্যলভ্যতা, পরিবহন সুবিধা, বাজারের নৈকট্য সহায়ক ভূমিকা রাখে। উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশের কুটির শিল্পের বিকাশে আমরা আরো বেশি ভূমিকা পালন করতে পারব। 

           পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের কুটির শিল্পের একটি বিশাল সম্ভাবনাময় শিল্প এতে কোন সন্দেহ নেই।

.

কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন এবং  পরবর্তী এ্যাসাইনমেন্টগুলো পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ। 

 

আগের পোস্টটি পড়তে ক্লিক  করুন।

Related Posts

3 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.