৮ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের অষ্টম ও নবম অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য) – ৪র্থ পর্ব

বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় (বিসিএস, ব্যাংক, প্রাইমারী, নিবন্ধন ইত্যাদি) সাধারণত বিজ্ঞান থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। এজন্য ৮ম ও ৯ম-১০ম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান বইটি পড়লে প্রতিযোগীতায় উত্তর করা অনেক সহজতর হয়। তাছাড়াও এই তথ্যগুলো অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরও অনেক উপকারে আসবে। আজকে ৮ম শ্রেণীর সাধারণত বিজ্ঞান বইয়ের অষ্টম ও নবম অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো। পর্যায়ক্রমে সবগুলো অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করব ইনশা-আল্লাহ।

অষ্টম অধ্যায়: রাসায়নিক বিক্রিয়া

১। পৃথিবীর সকল পদার্থ মৌলিক ও যৌগিক এ দু’ভাগে বিভক্ত।

২। আজ পর্যন্ত ১১৮টি মৌলের কথা জানা গেছে।

৩। সাধারণত মৌলের পুরা নাম না লিখে ইংরেজি বা ল্যাটিন নামের একটি বা দুইটি অক্ষর দিয়ে সংক্ষেপে মৌলটি কে প্রকাশ করা হয়। এই সংক্ষিপ্ত রূপকে প্রতীক বলা হয়। যেমন – হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O), ক্যালসিয়াম (Ca) ইত্যাদি।

৪। কোন মৌলের বা যৌগের সংক্ষিপ্ত রূপকে সংকেত বলা হয়। যেমন – হাইড্রোজেন অণুর সংকেত H2, অক্সিজেন অণুর সংকেত O2, হাইড্রোজেন ক্লোরাইড অণুর সংকেত HCl ইত্যাদি।

                                       অষ্টম শ্যেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য মুখস্ত করা জরুরী।

৫। মৌলের যোজনী সংখ্যা অনুযায়ী মৌল গুলো একে অন্যের সাথে রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে।

৬। অ্যামোনিয়ার সংকেত NH3, মিথেন এর সংকেত CH4

৭। সালফার হালকা হলুদ বর্ণের।

৮। সালফার ডাই অক্সাইড ঝাঁঝালো গন্ধ বিশিষ্ট।

৯। ফেরাস সালফেট এর বর্ণ হালকা সবুজ।

১০। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ শক্তির রূপান্তর ঘটে।

১১। লেবুর রসে প্রচুর সাইট্রিক এসিড থাকে।

১২। ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড স্ল্যাক লাইম নামে পরিচিত।

১৩। ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড পানিতে খুব অল্প পরিমাণে দ্রবীভূত হয়। আর পানিতে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর সম্পৃক্ত দ্রবণের পানি বা লাইম ওয়াটার বলা হয়।

১৪। ড্রাইসেল বা শুষ্ক কোষে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়া ও ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।

১৫। তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ হচ্ছে চিনি, গ্লুকোজ ইত্যাদি।

নবম অধ্যায়: বর্তনী ও চলবিদ্যুৎ

১। বিদ্যুৎ প্রবাহ হলো মূলত ইলেকট্রনের প্রবাহ।

২। জেনারেটর বা ডায়নামো বাংলাদেশে প্রতি সেকেন্ডে পঞ্চাশ বার এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার দিক পরিবর্তন করে।

৩। রোধের এস.আই একক হল ওহম।

৪। অ্যামিটার বর্তনীর সাথে শ্রেণি সংযোগে যুক্ত থাকে।

৫। ভোল্ট মিটারকে সমান্তরালে সংযুক্ত করতে হয়।

৬। ফিউজ তার হচ্ছে টিন ও সিসার একটি সংকর ধাতুর তৈরি ছোট সরু তার।

লেখাটি ভাল লাগলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করবেন।

Related Posts

4 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.