হঠাৎ করে মাথায় ব্যাথা, হাইপার টেনশন নামক রোগে আক্রান্ত কি না?জেনে নিন-

হঠাৎ করে মাথায় ব্যাথা, হাইপার টেনশন নামক রোগে আক্রান্ত কি না?জেনে নিন-

হুটহাট করে মাথাব্যাথা, ছোটো কারনেই রেগে যাওয়া, চোখে কম এবং ঝাপসা দেখা, এরকম সমস্যা গুলোই মুলত হাইপারটেনশন এর লক্ষণ। একটা বয়স পার হওয়ার পর এই রোগটা আপনাদের শরীরে বাসা বাধবেই।তবে বেশি বয়সিদের থেকে এটা মধ্য বয়সিদের মাঝে প্রায় নব্বই শতাংশ হয়ে থাকে।এর বিভিন্ন রকমের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে আমাদের শরীরে।এর কারনে আমরাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।কারণ টা হলো হৃদযন্ত্রের রক্ত চলাচলা প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘাটায়, তাছাড়া ও এটি আমাদের হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি করে, আর তাই আমাদের উচিত খুবই দ্রুত  এর চিকিৎসা নেওয়া।

হাইপারটেনশন কে মোকাবিলা করার কিছু উপায়ঃ

       ধুমপান নিষিদ্ধ ঃ

ধুমপানের কারনে হার্টে কিছুকালের জন্য রক্তসঞ্চালন বেড়ে যায়। এতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।তাছাড়া ও বহুবার এটা প্রমানিত হয়েছে যে ধুমপান হৃদরোগের অন্যতম কারন।আর তাই হাইপার টেনশন সহ হৃদরোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ধুমপান থেকে ও মুক্ত থাকতে হবে।তাছাড়া ও ধুমপান মোটেও ভালো অভ্যাস নয়।আর তাই এটার থেকে দুরে থাকাই ভালো।

এলকোহল জাতীয় থেকে ও বিরতি ঃ-
এলকোহল মানুষের শরীরের জন্য বিপদজনক।এটা মানুষের হার্টে রক্তচাপ বৃদ্ধি করে থাকে। এই রক্তচাপ  আর কমে যায় না, বরং বৃদ্ধি পেতেই থাকে। তাই এলকোহল থেকে দুরে থাকাই উত্তম।

শরীর চর্চা ঃ-

হাইপার টেনশন থেকে মুক্ত থাকার জন্য শরীর চর্চা একটি সুফল গম উপায়।শরীর চর্চা করলে মন,মানসিকতা, মেজাজ, সবকিছুই সতেজ থাকে।তাই নিয়মিত শরীর চর্চা আমাদের এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।শরীর চর্চার জন্য আমরা নিয়মিত হাটাহাটি করতে পারি, খুব বেশি নাহলেও ৩০ মিনিটের মতো তো প্রতিদিন হাটতেই পারি, এর উপকারীতা অনেক রয়েছে। তাছাড়াও সাতার,জিমে যাওয়া,সাইকেল চালানো,দৌড়ানো এসব করলে আরো স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

ওজন ঠিক রাখা ঃ

ওজন ঠিক রাখার ক্ষেত্রে শরীর চর্চা অন্যতম একটি উপায়।দেহের ওজন যদি বৃদ্ধি পায়, তাহলে হার্টে চাপ পড়ে থাকে, এতে এরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েই যায়।তাই আমাদের উচিৎ ওজন ঠিকঠাক রাখা।তাছাড়া ও বিভিন্ন পরীক্ষায় আমরা দেখেছি ওজন বেড়ে গেলে বিভিন্ন রোগ এসে বাসা বাধতে শুরু করে। আর তাই আমাদের সাবধান থাকাই বাঞ্চনীয়।

ডায়েট করা ঃ

সঠিক ডায়েট একজন মানুষকে হার্ট এটাক সহ হাইপার টেনশন থেকে মুক্ত রাখতে সহায়ক। কেননা ডায়েট মানুষের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।এক্ষেত্রে আপনারা উচ্চফায়বার যুক্ত খাবার গ্রহন করতে পারেন।যেমন – গম,বিভিন্ন ফল, সবজি খাওয়া যেতে পারে।তাছাড়া ও লো ফ্যাক্ট জাতীয় খাবার গুলো ও খাওয়া যেতে পারে।আর একটি বিষয়ে আপনাদের সতর্ক হতে হবে  তা হলো – লবন খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে,অনেকেই বেশি লবন খেয়ে থাকেন  তো তাই।
সাবধানতা অবলম্বন করলে কোনো ক্ষতি নেই, বরং আমাদের উপকারই হয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিৎ  স্বাস্থ্য বিষয়ে সতর্ক হওয়া, কারণ স্বাস্থ্য সকল কিছুর মূল। দেখা যায় শরীর ভালো না থাকলে মনে ও ভালো লাগেনা, সবকিছুর মধ্যে যেনো একটা অশান্তি কাজ করে।
আমাদের যে খাবার দাবার, শুধুমাত্র ভেজাল বর ভেজাল। এই জন্য আমাদের শরীরে নানা রকমের রোগ এডে বাসা বাধতে শুরু করে দেয়,আর আমরা নিত্য নতুন এই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকি। তাই আমাদের চোখ কান খোলা রেখে চলা উচিত বলে আমি মনে করি।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

সার্বিক সংকলনে
ফারজানা এনজেল মায়া

Related Posts

6 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.