ষষ্ঠ শ্রেণির হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট ২০২১

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়। 

চলে এসেছে এসাইনমেন্ট সিরিজ গ্রাথরের সাথে । এসাইন্টমেন্ট সিরিজের নিজের এসাইন্টমেন্ট খুঁজে পেতে সাথে থাকুন গ্রাথরের। এসাইনমেন্ট সিরিজের ধারাবাহিকতায় আজ নিয়ে এসেছি ষষ্ঠ শ্রেণীর হিন্দু ও নৈতিক শিক্ষা এসাইন্টমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে। 

প্রশ্ন:জীবে প্রেম করার মদ্ধ দিয়ে কিভাবে ঈশ্বরের সেবা করা যায় তা তোমার এবং তোমার পরিবারের জীব সেবা  নিয়ে কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে উপস্থাপন কর। 

উত্তর:হিন্ধুধর্মে ঈশ্বর কিংবা সৃষ্ঠিকর্তাকে ঈশ্বর নাম এ অবহিত করা হয়। ঈশ্বরের অনেক নাম যেমন ভ্রম্ম,ভগবান। পরমাত্মা ইত্যাদি। আবার পরমাত্মা যখন জীবের মধ্যে দিয়ে আত্মারূপে উপস্থাপন করে তখন তাকে আত্নম বা জীবাত্মা বলে। জীবাত্মা ও পরমাত্মাই অংশ। মানুষ মহাবিশ্ব বা মহাবিশ্বের সব কিছুই হচ্ছে সৃষ্টি। এ সকল সৃষ্টির জিনি স্রষ্টা বা সৃষ্টিকর্তা তার নাম ঈশ্বর। ঈশ্বরকে কেউ দেখতে পায় না।

তার আকার নেই ,তিনি নিরাকার। কিন্তু তার সৃষ্টির আকার আছে। তার সৃষ্টির মধ্যে আমরা তাকে অনুভব করেন। তাকে তার সৃষ্ঠির যে কোনো আকৃতিতে অর্থাৎ সাকার রূপে উপলব্ধি করা যাবে। প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানের মধ্যে ঐক্য এবং পারস্পরিক সম্পর্কের মূলেই রয়েছেন তিনি। স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মাধ্যমে আমরা তাকে উপলব্ধি করতে পারি। 

এ প্রসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন 

“বহুরূপে সম্মুখে তমা ছাড়ি খুঁজিছ ইশ্বর 

জিবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবেছেন ঈশ্বর “.

অর্থৎ জীবের মধ্যে ঈশ্বর বিরাজ করে। তাই ঈশ্বরকে বাইরে খোঁজার প্রয়োজন হয় না। এবং জীবকে সাব করলে ঈশ্বরকে সেবা করার সমান হয়। জীবকে প্রেম করার মাধ্যমে ঈশ্বকে সেবার করা যায় এ সম্পর্কে দরিদ্র ব্রাহ্মণ সেবা নাম এ একটি চমৎকার উপটখান রয়েছে ,নিচে তা বর্ণনা করা হল কুরুক্ষেত্র উপসমাদেশের এক পবিত্র স্থান। কুরুক্ষেত্রকে ধর্মক্ষেত্র ও বলা হয়।

সেই সেই কুরুক্ষেত্রে এ এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ ছিলেন ,স্ত্রী ,এক ছেলে আর ছেলের বৌকে নিয়ে তার অবস্থান। কিন্তু সংসার ছোট হলে কি হবে কোনোদিন কপালে খাবার জুটতো ,কোনোদিন আধপেটা থাকতে হতো। কোনোদিন একেবারেই না খেয়ে থাকতে হতো। কারণ ব্রাহ্মণ ধর্ম ও সাধনা ও বিদ্যাঅর্জন করে সময় কাটাতেন। উঞ্ছবৃত্তি ওরে খাবার সংগ্রহ করতেন। উচ্চবৃত্তি হলো ধান কেটে যে ধান মাড়াইয়ের পর কুড়িয়ে পাওয়া অবশিষ্ট অংশ একদিন। তার সংসারে একটি বিড়াল এলো তারাটি প্রানীটিকে হত্যা না করে বড়ং নিজেরা যা খায় তাই তাকে খেতে দিলো। এভাবে তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।

ধন্যবাদ সবাইকে।সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।

মাস্ক পড়ুন

সুস্থ থাকুন  

Related Posts

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.