ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট ২০২১

 আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়।

চলে এসেছে এসাইনমেন্ট সিরিজ। এসাইনমেন্ট এর উত্তর দেওয়ার ধারবাহিকতায় আজ নিয়ে এসেছে ষষ্ঠ শ্রেনীত ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট ২০২১।

এসাইনমেন্ট প্রশ্নঃ

তোমার চারপাশের নিদর্শন উল্লেখসহ কালিমা তাইয়্যেবা ও কালিমা  শাহাদাত এর আলোকে আল্লাহ তা’য়ালার একত্ববাদের উপর একটি প্রতিবেদন রচনা করো।

উত্তরঃ

তাওহিদ শব্দের অর্থ একাত্মবাদ । মহান আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয়  হিসেবে বিশ্বাস করার নামই তাওহীদ। অর্থাৎআল্লাহ তা’য়ালা এক।তার কোন শরীক নেই। তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনিই আমাদের রক্ষক পালনকর্তা ও রিজিকদাতা। তিনি অনাদি ও অনন্ত।তার  সমকক্ষ ও  সমতুল্য কেউ নেই। তিনি একমাত্র মাবুদ। সকল প্রশংসা ও ইবাদত একমনে তারই প্রাপ্য।মনে প্রাণে  এসব বিশ্বাস কে তাওহীদ বলে।

কালিমা তাইয়্যেবাঃ

তাইয়্যিবা অর্থ পবিত্র। কালিমা তাইয়্যিবা হচ্ছে ইসলামের সবচেয়ে বড় শিক্ষা এবং ইমানের সবচেয়ে বড় দাবী।

লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু  

অর্থঃআল্লাহ ছাড়া আর কোন সত্যিকারের ইলাহ(উপাস্য)নেই।

অর্থাৎ পৃথিবীতে ইলাহ কিংবা উপসনার যোগ্য একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালা। তিনি  ব্যতীত আর কেহ উপাস্য  হতে পারো না।আরবি লা ইলাহা শব্দের অর্থ  কোন ইলাহ নেই আর ইল্লাল্লাহ অর্থ আল্লাহ ছাড়া  কালিমার এ  অংশটি না  শব্দ রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। লা ইলাহা শব্দ দ্বারা   অন্তর থেকে সব ভুলভ্রান্তি বিশ্বাস সব দূর করতে হবে এবং ইল্লাল্লাহু দ্বারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।  

কালিমা শাহাদাতঃ

শাহাদাত অর্থ সাক্ষ্য দেওয়া।এই কালিমা পড়ে আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসেবে এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আ’লায়াহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহর রাসুল হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া হয়, একারণে এই কালিমাকে কালিমা শাহাদাত বলা হয়।উল্লখ্য এই কালিমা পড়ে মানুষ  কাফের থেকে মুসলিম হয়।

উচ্চারণঃআশহাদু আল-লা-ইলাদা ইল্লালাহু ওয়াদা’হু লা শারিকা-লাহু-আশাহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবাদুহ ওয়া রাসুলুহ।

অর্থঃআমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই।তিনি একক, তার কোন শরীক নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ তার বান্দা ও রাসূল।

এ কথার দ্বারা তাওহিদ ও একাত্তবাদের সাক্ষ্য দেওয়া হয়।অর্থাৎ আমরা এর দ্বারা সাক্ষ্য দেই যে মহান আল্লাহ তা’য়ালা এক ও অদ্বিতীয়। তার কোন শরীক কিংবা সমতুল্য নেই।ইবাদতের ক্ষেত্রে আমরা কাউকে তার শরীক করি না। 

আল্লাহ তা’য়ালা এক ও অদ্বিতীয় এই বিশ্বাস না থাকলে আমরা কোনদিন মুমিন হতে পারবোনা।আল্লাহ তা’য়ালাই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিযিজদাতা।তিনিই একমাত্র উপাস্য,তিনিই সকল কিছুই সৃষ্টি করেছেন আমাদের জন্য।তাই আমাদের সকলের উচিত তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।আল্লাহ তা’য়ালার আনুগত্য ও ইবাদত করা।

Related Posts

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.