ব্যাচেলরের ইতিকথা

  • ব্যাচেলর শব্দটার ভিতরে আছে অনেক কষ্ট, ধৈর্য, অধ্যবসায়, ত্যাগ। আজকে আমি এমন একটা কথা শেয়ার করতে যাচ্ছি যেটা প্রতিটা ব্যাচেলরের জীবনেই হয়।

ব্যাচেলরের সর্বপ্রথম পদক্ষেপ হল থাকার জায়গা খুঁজে পাওয়া। আর এইটাই হলো সবথেকে পরিশ্রমের একটা কাজ। ব্যাচেলর বাসার জন্য দেয়ালে লাগানো অনেক টুলেট দেখতে হয়। হাজারো টুলেট দেখেও দিনের পর দিন ফোনের পর ফোন দিয়েও কোন বাসা ঠিকমতো পাওয়া যায় না। হয়তো কখনো বলে – বাসা নেই, রুম খালি নেই, ভাড়া হয়ে গেছে। কখনও বা দেখা যায় বাজেট অনুযায়ী ভাড়া বেশি হয়ে যায়। কখনো বা রুম পছন্দ হয় না। সবথেকে বেশি খারাপ লাগে এই ব্যাপারটাই – টুলেট দেখে ফোন ফোন দিয়ে শুনি ব্যাচেলর ভাড়া হবে না তখন খুব কষ্ট লাগে। আবার বলে ফ্যামিলি ছাড়া ভাড়া দেয় না। তখন বন্ধুরাও খোঁচা দেয় যে “বিয়ে করলি না কেন?” আজকে তুই বিয়ে করলে তো বাসাটা পেয়ে যেতাম। আমার বলে তুই একটা কাজ কর তোর গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করে নিয়ে আয় তখন বাসা পাবো সহজেই। এটা তো সম্ভব না। আর ব্যাচেলর বাসা পেলেও এখানে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া একটু কষ্টকর হয়ে যায়। তারপরও এই কস্টকেই মেনে নিয়েই ধৈর্য ধরে থাকতে হয় নিজের ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে।

  • সত্যি বলতে এটা ছিল আমার নিজের সাথে ঘটে যাওয়া একটা সত্যি ঘটনা। আমি নিজেই অনেক ভুগেছি এই বাসা খোঁজার জন্য। কতনা অলিগলি ঘুরেছি এই বাসার জন্য।

Related Posts

9 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.