ফ্রিল্যান্সারদের ৬ টি স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং তার প্রতিকার।

আশা করি সবাই ভালো আছেন।যারা চাকরি করেন তারা তো সারাদিন পরিশ্রম করে মাস শেষে টাকা পায়,কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদের কি কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই?অনেকে মনে করেন একটা ল্যাপটপ তার সাথে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে যেকোনো সময় তারা হাজার হাজার ডলার আয় করছে।কিন্তু কোনো কাজ করার আগে বুঝা যায় না,যে কাজটি কতটা কঠিন।এটা সত্যি যে অন্যান্য কাজ থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে লেগে থাকলে মাসে একটা ভালো ইনকাম করা যায়।আর অন্যান্য চাকরি থেকে স্বাধীনতাও বেশি পাওয়া যায়।কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদেরও স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।আজকে ফ্রিল্যান্সারদের ৬ টি স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করবো।কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করার  মোটিভেশন হারালে চলবে না কারন আমি এর প্রতিকারও আজকে বলে দেবো।তো চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ

ঝুঁকি;

১.ফ্রিল্যান্সারদের রাত জেগে কাজ করতে হয়।কারণ আমাদের দেশে যখন রাত থাকে তখন ইউরোপের দেশগুলোতে দিন থাকে।তাই ক্লায়েন্ট তাদের সময়সূচি অনুযায়ী দিনেরবেলা কাজ দিয়ে থাকে।কিন্তু আমাদের দেশের সময়সুচি অনুযায়ী রাতেরবেলা কাজটি করতে হপ্য।তাই ফ্রিল্যান্সাররা রাতের বেলা ঘোমাতে পারে না।

প্রতিকার;

১.ফ্রিল্যান্সাররা যখন প্রায় প্রতিদিন রাত জাগে তখন তাদের এটা অভ্যাস হয়ে যায়।আর তারা কাজ শেষ করে ভুরবেলা ঘুমিয়ে পরে তাই তাদের এটা কোনো ভবিষ্যতে সমস্যা হয় না।

ঝুঁকি;

২.ফ্রিল্যান্সারদের টানা ৬,৭ ঘন্টা ল্যাপটপের সামনে বসে থাকতে হয়।এটাও একটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি।এর ফলে তাদের চোখের সমস্যা হতে পারে।

প্রতিকার;

২.তারা ৬,৭ ঘন্টা কাজ করলেও প্রতি আধা ঘণ্টা এক ঘন্টা পর তারা একটু বিরতি নিয়ে থাকে।৫,৬ মিনিটের বিরতিতে তারা একটু হাটাহাটি করে।আবার অনেক ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে গান গাওয়ার ইচ্ছে থাকে প্রচুর তাই তারা গান গায়।

ঝুঁকি;

৩.ফ্রিল্যান্সারদের একজায়গায় ৭,৮ ঘন্টা বসে থাকতে হয়।এতে তাদের মেরুদণ্ডের সমস্যা হয়।এবং শরীর ভার হয় যায়।

প্রতিকার;

৩.কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সার আবার আবার শুয়েও কাজ করতে পারে।কারণ ল্যাপটপে কোনো সমস্যা হয় না।আবার কম্পিউটারে তার বৈদুতিক কানেকশনের কারনে এক জায়গায় থাকতে হয়।

৪.ফ্রিল্যান্সারদের মাথায় অনেক চাপ থাকে।ফ্রিল্যান্সারদের কাজ করার সময় অনেক চাপে পরতে হয় যে এটা এভাবে না হয়ে ঐভাবে করলে কেমন হতো।এইজন্য একটু চাপের মধ্যে থাকে তারা।

প্রতিকার;

৪.এটা সাধারণত নতুন ফ্রিলান্সারদের ক্ষেত্রে দেখা যায়।যারা ২,৩ বছর করে অভিজ্ঞ হয়ে যায়।তাদের এরকম কোনো সমস্যা হয় না।

ঝুঁকি

৫.ফ্রিল্যান্সারদের কয়েকদিন পর দেখা যায় তাদের চশমা পড়তে হয়।কারন তাদের চোখের সমস্যা হয়।

প্রতিকার;

৫.ফ্রিল্যান্সারদের খাদ্য যদি ভালোভাবে খেতে পারে আর রাত জাগার অভ্যাসটা করে ফেলতে পারে তাহলে তারা এইসমস্যা থেকে প্রতিকার পাবে।

৬.ফ্রিল্যান্সারদের কথা বলার সময় একটু সমস্যা হয়।কারণ তারা রাতের বেলা নিস্তব্ধতার মধ্যে কাজ করে।আর সারারাত জাগে তাই তারা বেশিরভাগ সময় চুপ থাকে।

প্রতিকার;

৬.এর প্রতিকার হতে পারে একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলা।কারণ ইউটিউবে তারা ফ্লুয়েন্টলি একটা টপিকের উপর মানুষ্কে বুঝাবে।তাই তাদের আর কথা বলতে কোনো সমস্যা হবে না।

যেকোনো কাজে সমস্যা থাকবেই কিন্তু আমাদের সমস্যা দেখে পিছিয়ে না গিয়ে প্রতিকার বের করে কাজ চালিয়ে যাওয়া।সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Posts

7 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.