ফেসিয়াল করুন ঘরে বসেই, ঘরোয়া উপায়ে।

 

বর্তমানে পরিবর্তিত আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত কেমিক্যাল এর মাধ্যমে ফর্সা হবার জন্য ত্বকের উপকার থেকে ত্বকের জন্য মারাত্মক রূপ নিচ্ছে।

খুব সামান্য কাজ করেই নিজেকে রাখতে পারবেন সুন্দর আর পরিপাটি। বর্তমানে বিভিন্ন কেমিক্যাল এর ব্যবহার এর কারণে ত্বক হয়ে উঠছে রুক্ষ। তাই বাড়িতে বসেই প্রাকৃতিক উপাদান এবং ঘরোয়া উপায়ে ত্বক কে করে তুলতে পারেন কোমল আর উজ্জ্বল।
চলুন ঘরে বসে ফেসিয়াল এর উপায় জেনে নেই…
ফেসিয়াল করার জন্য প্রথম যে কাজ টি করতে হবে তা হলো একটা পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাতে একটা তোয়ালে ভিজিয়ে মুখে ভাপ দিতে হবে যাতে করে লোমকূপ গুলো খুলে যায় এবং ত্বক পরিষ্কার সহজ হয়।

দ্বিতীয়ত নিয়ে নিতে হবে
১।লেবুর রস
২।নারকেল তেল
৩।চিনি
এই উপাদান গুলো সঠিক পরিমাণে নিয়ে তিন থেকে চার মিনিট হালকা হাতে ত্বকে মেসেজ করতে হবে । এর ফলে ত্বকের মরা চামরা এবং ব্লাক হেডস দুর হবে খুব সহজেই।

তৃতীয়ত যে কাজ টি করতে হবে…
ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে কাঁচা দুধ দিয়ে যাতে করে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হয়।

তারপর যে শেষ কাজ করতে হবে তা হলো প্যাক লাগানো। প্যাক তৈরি র জন্য যে যে উপাদান প্রয়োজন তা হলো..
১।লেবুর রস
২।বেসন
৩। টকদই
৪।মধু
৫।নারকেল তেল
৬। মুলতানি মাটি
৭।হলুদ
এই উপাদান গুলো সঠিক পরিমাণে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে এবং সেটা আধাঘন্টা ত্বকে রাখতে হবে। তারপর ত্বক পপরিষ্কার করে নিতে হবে ঠান্ডা পানি দিয়ে।

ঘরোয়া পদ্ধতি তে ফেসিয়াল এর আর একটি উপায় হচ্ছে এলোভেরা ফেসিয়াল। এক্ষেত্রে সিরিয়ালি দেয়া হলো….
প্রথম এ এলোভেরা জেল এবং কাঁচা দুধ এক সাথে মিশিয়ে ত্বকে এপ্লাই করতে হবে এবং কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।
তারপর দ্বিতীয় পর্ব এসময় এলোভেরা জেল, চিনি এবং কফি পাউডার নিয়ে খানিক্ষন ত্বকে মেসেজ করতে হবে তারপর দুই থেকে তিন মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
এরপর শেষ পর্ব অর্থাৎ ফেসিয়াল প্যাক তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে এলোভেরা জেল, বেসন, কফি পাউডার, মধু,লেবুর রস,মুলতানি মাটি এবং টকদই দিয়ে একটা ঘণ পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবং এই পেস্ট টি ত্বকে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। ব্যাস তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
ব্যস হয়ে গেল ঘরে বসে খুব সহজে ঘরোয়া ফেসিয়াল৷ আশা করি নিয়মিত ব্যবহার এ উপকৃত হবেন।

এছাড়া ও ভেতর থেকে ত্বক ভালো রাখতে কিছু টিপস ফলো করতে হবে। যেমন বেশি বেশি পানি খাওয়া,নিয়মিত সিজনাল ফল খাওয়া, পরিমিত ঘুম, এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।

ধন্যবাদ।।

Related Posts

5 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.