খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যে স্বনির্ভর হবে কবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে অত্যন্ত ছোট একটি দেশ এবং ভৌগলিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি প্রধান একটি দেশ। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বাংলাদেশের প্রধান খাবার হচ্ছে ভাত।

এছাড়ও দেশের বিস্তৃীর্ণ চাষাবাদযোগ্য জমিতে ধানের চাষাবাদ হয়ে থাকে। শুধু ধান নই কৃষকেরা বিভিন্ন প্রকার ফসল ও সবজি চাষ করে সারাদেশে সরবারহ করে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করে থাকে। তবে বছরের মাঝামাঝি সময়েই আবহাওয়া ও পরিস্থিতির কারণে খাদ্য সংকটে ভোক্তাদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। বাংলাদেশে ভোজ্য তেল, চিনি, পেঁয়াজ, রঁসুন, ডাল ও অন্যন্য জিনিষ পত্রের দাম হঠাৎ এবং আকষ্মিক বৃদ্ধি পেয়ে যায়।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়াতে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মনমালিন্যতার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়। ভোক্তাদের একটিই আশা হচ্ছে যে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বনির্ভর হবে কবে। বাজারে গেলেই দেখা যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্রের দাম আকাশ ছুঁই ছুঁই এবং ভোক্তারা তাদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। চিনির দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এছাড়াও রঁসুন ও ডালের দামও প্রতি কেজি ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সবমিলিয়ে বাজারে ভোক্তাদের বেহাল দশা বললেই চলে।

বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন যে এরুপ সংকট বাজারে থাকলে বাংলাদেশ অন্য দেশ থেকে আমদানী প্রবণ হয়ে পড়বে। এছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র আমদানী করা শুরু করেছে এবং আমদানি করার পরেও ভোক্তাদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ বাজার মালিকেরা। আমদানি করার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্রের দাম ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভোজ্য তেল: বাংলাদেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা অত্যধিক এবং তেলের উৎপাদন মাত্র ৩ লাখ টন। যেখানে বাংলাদেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা প্রায় ১১ লাখ মেট্রিক টন। এরুপ তথ্য পাওয়া যায় বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী। ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণের লক্ষে অন্যান্য দেশ থেকেই ভোজ্য তেলর আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ। আমেরিকার গবেষনা অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় তেল আমদানিকারক দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

পেঁয়াজ: পেঁয়াজের দাম হঠাৎ লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পায় যা ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠানামা করে থাকে। পেঁয়াজের এই সংকটের প্রধান কারণ হিসেবেই আছে ঘূর্ণিঝড়, অধিক বৃষ্টি ও বন্যা। এছাড়াও বর্তমানে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করা হচ্ছে।

রঁসুন: বাংলাদেশে রঁসুনের ঘাটতি অনেক কম। এরপরও আবহাওয়ার কারণে মাঝে মধ্যেই রঁসুনের দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

বাংলাদেশ দ্রুত নিত্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রেখে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করবে বলে আশা সাধারণ ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।

সূত্র: বিবিসি

Related Posts

8 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.