আসসালামুওয়ালাইকুম বন্ধুরা। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভাল আছেন।আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হারিয়ে যাওয়া একটি শরবত এর রেসিপি আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। শরবত টি একদম অন্যরকম একটি শরবত। এই শরবতটির নাম হলাও কতিলার শরবত।
এই শরবত টি শরীরের জন্য অনেক উপকারি। গরমের দিনে খাওয়ার জন্য এটি একদম উপযোগী একটি শরবত।এটি শরীর ঠান্ডা রাখে।শরীরের অনেক ক্ষতিও পুরন করে।
অনেকে হয়ত কতিলা কি চেনেন না কতিলার নামও অনেকে শোনেন নাই কখনও। আগে কতিলা কি তা জেনে নেওয়া যাক চলুন।
কতিলা হলো একধরনের গাছের আঠা আমাদের নানী ঠাকুমাদের আমলে কিন্তু এই জিনিসটার খুব চল ছিল।
তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাকঃ প্রথমেই একটি ছাঁকনি নিন।এবার আপনার বাড়িতে যে রকমের নরমার মিশ্রি থাকে সেই মিশ্রি নিন।মিশ্রিটা ছাঁকনিতে নিয়ে নিন (১৫০ গ্রাম)।
এবার একটি পাত্রে তিন কাপ পরিমান পানি নিয়ে নিন।এবার ছাকনিতে করে মিশ্রিটা রেখে পানিতে রেখে দিন। এতে করে মিশ্রিটা গলবে তাড়াতাড়ি। এমনিতে পানিতে রেখে দিলে যত জলদি গলবে তার থেকে ছাঁকনি তে করে রাখলে মিশ্রিটা তাড়াতাড়ি গলে যাবে।
এবার ১০ গ্রাম কতিলা নিন। এই কতিলা আপনি যেকোনো সুপারশপে পেয়ে যাবেন। এবার ১০ গ্রাম কতিলা মিশ্রি গলানো পাত্রে দিয়ে দিন। এভাবে সারা রাত রেখে দিন। সকাল বেলা যখন শরবতটা তৈরি হয়ে যাবে তখন এটি অনেকটা জেলির মতো দেখতে লাগবে। কতিলা এবং মিশ্রিটা একসাথে দেওয়ার জন্য কতিলার মধ্যেও অনেকটা মিষ্টিভাব ঢুকে গেছে।আপনি যদি পরে কতিলা মেশান তাহলে এই মিষ্টিভাব টা পাবেন না।
সকালে খালি পেটে এই শরবত টা খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
আপনি মিশ্রির বদলে চিনিও ব্যবহার করতে পারেন তবে এতে করে মিশ্রির মতো মিষ্টিভাব আসবেনা।
আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ বন্ধুরা
7 Comments
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
very good post
Valo post
কতিলা কি?
আসলেই ভাই এগুলো এখন হারানোর পথে
Very Nice post
❤️
Ok