হাই-পাওয়ার সিঙ্গেল ফ্রিকুয়েন্সি স্প্রেড স্প্রেকট্রাম এবং মাইক্রোওয়েব কি বৈশিষ্ট্যসমূহ (তারবিহীন মাধ্যম)জেনে নেন

হাই-পাওয়ার সিঙ্গেল ফ্রিকুয়েন্সি –

হাই-পাওয়ার সিঙ্গেল ফ্রিকুয়েন্সি অনেক বেশি জায়গা পর্যন্ত সিগনাল পাঠানো যায়।

হাই- পাওয়ার সিঙ্গেল ফ্রিকুয়েন্সি ট্রান্সমিশনের বৈশিষ্ট্যসমূহ-

  • এর ট্রান্সসিভারের দাম কম হলেও এন্টেনা ও অন্যান্য ইকুইপমেন্টের কারনে , হাইপাওয়ারড সিঙ্গল ফ্রিকুয়েন্সি ট্রান্সমিশনের  খরচ বেশি পড়ে।
  • এর ইনস্টলেশন জটিল বেং বেশিভাগ ক্ষেত্তেই অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দরকার পড়ে।
  • ব্যান্ডউইথ পাওয়ার যায় ১ থেকে ১০ এমবিপিএস।
  • ইথারনেট নেটওয়ার্কের মতো সর্বোচ্চ নোড সংখ্যা হতে পারে।
  • এ ট্রান্সমিশনে এটেনুয়েশন অনেক কম হয়। রিপিটার ব্যাবহার করে সিগনালকে অনেক দূর পর্যন্ত পাঠানো যায়।
  • ন্যারো ব্যান্ডের মতোই এখানেও ইএমআই প্রভাব ফেলে বেং ইভসড্রপিঙ্গের সমস্যা থাকে।

স্প্রেড স্পেকট্রাম –

সিঙ্গেল ফ্রিকুয়েন্সি ট্রান্সমিশনে কেবন একটি ফ্রিকুয়েন্সি ব্যাবহার হয়, আর স্প্রেড স্পেকট্রাম রেডিও ট্রান্সমিশনে একসাথে একাধিক ফ্রিকুয়েন্সি ব্যাবহারিত হতে পারে।

স্প্রেড স্পেকট্রাম রেডিও ট্রান্সমিশনের বৈশিষ্ট্য-

  • অন্যান্য  ওয়্যারলেস মিডিয়ার চেয়ে এখানে খরচ তুলনামূলকভাবে কম।
  • ব্যাবহারিত ইকুইপন্টের উপর ভিত্তি করে ইনস্টলেশন মোটামুটি কঠিন হতে পারে।
  • কম ফ্রিকুয়েন্সি ব্যাবহারিত হয় বলে, স্প্রেড স্পেকট্রাম ট্রান্সমিশনে এটেনুয়েশন বেশি।
  • এতে ইএমআই প্রতিরোধ ব্যাবস্থা নেই, তবে বিভিন্ন ফ্রিকুয়েন্সিতে সিগনাল ট্রান্সমিট হয় বলে ইভসড্রপিঙ্গ ঘটে না।

মাইক্রোওয়েব –

১ জিএইসজেট থেকে ৪০ জিএইসজেট ফ্রিকুয়েন্সিতে পাঠানো বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের নাম মাইক্রোওয়েব। মাইক্রোওয়েব একমুখি এবং ছোট আকারের কেন্দ্র অভিমুখে সিগনাল পাঠানো যায়। এজন্য প্রেরক ও গ্রাহক এন্টেনাকে পরস্পরমুখী করে সাজাতে হয়। এতে সুবিধা হলো এক জোড়া গ্রাহক ও প্রেরক এন্টেনা অন্য কোন এন্টেনার সাথে সংঘর্ষ না ঘটিয়ে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে।এই ফ্রিকুয়েন্সিতে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য খুব ছোট হওয়ায় একে মাইক্রোওয়েব নাম দেওয়া হয়। এর ফ্রিকুয়েন্সি রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি থেকে অনেক বেশি হওয়ায় পারফরমেন্স ও গতি বেশি পাওয়া যায়।

মাইক্রোওয়েভ যোগাযোগের প্রধান অসুবিধা হচ্ছে ট্রান্সমিটার ও রিসিভারের মধ্যে কোন বাধা থাকতে পারবে না।কারন এইসব সংকেত বিল্ডিং বা কোন বাধা ভেদ করতে পারে না। মাইক্রোওয়েভ পাঠানোর জন্য প্রেরক ও প্রাপক দৃষ্টি রেখার মধ্যে থাকতে হয়। প্রেরক ও গ্রাহকের দূরত্ব বেশি হলে এন্টেনা অনেক উচুতে উঠানো লাগে।

মাইক্রোওয়ভের বৈশিষ্ট্য –

  • মাইক্রোওয়েব সিস্টেম মূলত দুটি ট্রান্সসিভার নিয়ে গঠিত। এর একটি সিগনাল করার কাজে ব্যাবহারিত হয়।
  • মাইক্রোওয়েভ সিস্টেমে ব্যাবহারিত এন্টেনা বড় কোন ভবন বা টাওয়াররে উপর বসানো হয় যাতে সিননাল বাধাহীনভাবে বেশি দূরত্ব পাঠানো যায়।
  • মাইক্রোওয়েভ বাকা পথে চলতে পারে না।

Related Posts

9 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.