স্যামসাং এর সফলতার গল্প

আসসালামুআলাইকুম ভিউয়ারস। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন । বন্ধুরা আমরা সবাই স‍্যামসাং সমপর্কে অবগত আছি। তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি আজ এই সফলতার পেছনে সফলতার ইতিহাস।            তো চলুন শুরু করা যাক।                                     স‍্যামসাং বলতে আমরা শুধুমাত্র তাদের ইলেকট্রনিক সামগ্রিকে বুঝি। জানিনা যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক সামগ্রী নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠানটি এমন কোন খাত বাকি রাখেনি যেখানে ব‍্যবসা করেনি। পৃথিবীর সবচেয়ে উচু দালান বুর্জা খলিফা নির্মান করেছে এই প্রতিষ্ঠানটা। কিন্তু স‍্যামসাংয়ের শুরুটা হয়েছিল একজন সাধারণ নুডলস বিক্রেতার হাতে। নুডলস বিক্রেতার সেই মুদির দোকানের চিন্তা থেকে কিভাবে গড়ে উঠল আজকের এই বিশ্বব‍্যাপী রাজত্ব করা স‍্যামসাং প্রতিষ্ঠানটি। গোটা বিশ্বকে টাক লাগানো এ স‍্যামসাং এর গল্পটি বদলে দিতে  পারে আপনার নিজের জীবনটি।                                                 স‍্যামসাং হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ব‍্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম‍্যান লি বিয়ং চল। দক্ষিণ কোরিয়ার ইউরিংয়ের এক ধনাঢ‍্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ১৯১০ সালে। গ্রাজুয়েশন শেষ করতে তাকে পাঠানো হয়েছিল টোকিওর ওয়াসাটা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়া চলাকালীন তার বাবা মারা যান। তারপর পড়া শেষ না করে তিনি ফিরে আসেন। তার পরিবারের ছিল নানা রকমের ব‍্যবসা। তিনি ফিরে এসে এগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। লি বিয়ং চল যখন দক্ষিণ কোরিয়ার দেগ শহরে প্রথম স‍্যামসাং নামের প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন তখন তার উদ্দেশ্য ছিল ছোট খাটো একটি মুদির ব‍্যবসা করা। কিন্ত তিনি বেশিদিন এই ব‍্যবসা চালিয়ে যেতে পারেননি। ১৯৩৮ সালে ১ মার্চ নতুন একটি ব‍্যবসা শুরু করলেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানটির নাম দিলেন স‍্যামসাং ট্রেডিং কোম্পানি। ৪০ জন কর্মচারী এবং কয়েকটি ট্রাক নিয়ে গ‍্যারেজে শুরু হয় স‍্যামসাং এর যাত্রা। লি তখন তার সমস্ত সঞ্ছয় বিনিয়োগ করে বিশাল পরিমান পন‍্য কিনলেন এবং সেই সাথে দিলেন আকর্ষণীয় ছাড়। ফলে মানুষ তার পন‍্যের দিকে ঝুঁকলো। তার প্রভাবেই শুরু হলো স‍্যামসাং এর পথচলা। স‍্যামসাং শব্দটি একটি কোরিয়ান শব্দ। স‍্যাম অর্থ তিন এবং সাং অর্থ স্টার বা তারা। ধীরে ধীরে এটি বড়  হতে থাকে এবং ১৯৫১ সালে তা স‍্যামসাং সি করপোরেশন নাম দেয়া হয়। লি তখন সরকারের সাথে পরিকল্পনা করে এ সময় কোরিয়ার পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে তার ব‍্যবসাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার চেষ্টায় লেগে পড়েন। মুলত ১৯৬০ এর শেষের দিকে স‍্যামসাং উদ‍্যোগ নেয় ইলেক্ট্রনিক পন‍্য তৈরীর ব‍্যাপারে। ২০০০ সালে সব ইলেক্ট্রনিক কোম্পানিকে পেছনে ফেলে শীর্ষ স্থানটি দখল করে নেয় স‍্যামসাং।২০১২ সালে নোকিয়া কে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল নির্মাতা হয়ে ওঠে প্রতিষ্ঠানটি। আশা করি আমি আপনাদের একটু হলেও আনন্দ দিতে পেরেছি। পোস্টটি পড়ার জন‍্য ধন্যবাদ সবাইকে।

Related Posts

5 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.