সোনার হাঁস

সোনার হাঁস,

একোদা কোনো এক সময়ে, এক গ্রামে একজন কৃষক বাস করত। সে দিন আনে, দিন খায়।
অনেক অভাব অনোটনে, দিন যাপন করেন তিনি।
এই নিয়ে তার বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকতো।

তাই সে নিজের কপাল কে সবসময় দোঁষ দিতো। তার ভাগ্যে কিছুই নাই, এইভাবে বলে সে, কাজ করতে চলে যায়।

কিন্তু এইভাবে, কয়েকদিন কেটে যাবার পর
বাড়িতে ফেরার পথে, সে একটা হাঁস কুড়িয়ে পায়।

হাঁসটি ছিলো রাজ হাঁস। তারপর সে বাড়িতে আসলো এবং খুঁশিতে তার স্ত্রীকে বললো, হে’গো’ দেখো একটা হাঁস কুড়িয়ে পেয়েছি । আজকে যখন আমি কাজ করতে গিয়ে , কাজ না পেয়ে মনের রাগে দুঃখে বাড়িতে ফেরার পথে, তখন এই হাঁসকে দেখতে পাই। এবং আমি সংঙ্গে করে নিয়ে আসি।

তারপর কৃষক তার বউকে বলে, যাক কাজ পাইনি তো কি হয়েছে কাল বাঁজারে এটাকে বিক্রি করবো। তা দিয়ে একদিনের সংসার চলবে। তাছাড়া বেশ দাম পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে।

এরপর কৃষক পরদিন সকালে, যখন বাজারে যাবে বলে, হাঁসকে আনতে গেল ।তখন সে তো অবাক হয়ে গেল।
সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না।যে হাঁসটি সোনার ডিম পেঁড়েছে।

এই খুশিতে সে আত্মহারা, এরপর সে বাঁজারে গেল, সোনার ডিমটাকে বিক্রি করতে।

বাহ! বেশ ভালো দাম পেয়েছে সে, আগে কখনো তিনি একসাথে এতগুলো টাকা চোখে দেখেনি।

খুশিতে বাড়ি ফিরলো চাল-ডাল, শাকসবজি, মাছ-মাংসো সব নিয়ে ।

স্ত্রীকে বললো, দেখো আজ কতো বাজার এনেছি গিন্নি ।
আজ খুশিতে আনন্দে বেশ দিন কাটলো কৃষকের ও তার স্ত্রীর।

পরদিন, আবার সে হাঁসটাকে দেখতে গেল
এবং দেখে যে , আবার সোনার ডিম পেঁড়েছে।

কৃষক আবারো বাঁজারে গেল, সোনার ডিম বিক্রি করতে। ভালো দামে বিক্রি করে ডিমটি।

থলে ভর্তি বাজার নিয়ে, আবারো বাড়িতে ফিরলো।

তারপর এইভাবে , অনেকদিন কেটে গেল কৃষকের জীবন-যাপন।

সে সোনার বিক্রি করে ধ্বনি হয়ে গেল।
এলাকার প্রতিবেশি সবাই অবাক। কিভাবে এই গরীব কৃষক এত বড়লোক হয়ে গেল।

তার থাকার মতো কুঁড়েঘর ছাড়া কিছুই ছিল না। সে দিন এনে দিন খায়।
সোনার ডিম পাড়া রাঁজ হাঁসের কথা কেউ জানতো না।

কিন্তু হঠাৎ, কৃষক লোভে পড়ে গেল। সে ভাবলো আমি যদি হাঁসটাকে একবারে কেটে ফেলি তাহলে একবারে অনেক বড়লোক হয়ে যাব।

এরপর সে কি করলো, লোভ সামলাতে পেরে হাঁসকে ছুঁরি দিয়ে হত্যা করল।

আর দেখে পেটের মধ্যে কোনো সোনার ডিম নেই ।

কৃষক নিজের কপাল চাপড়াতে লাগলো, হায়! আমি কি করলাম লোভে পড়ে , শেষ পর্যন্ত হাঁসটাকে মেরে ফেললাম?

আমরা এই গল্প থেকে যা শিখতে পারলাম, তা হলো বেশি লোভ করলে আমাদের সব কিছু হারাতে হয়।

যেমন টা এই লোভী কৃষকের হয়েছে। সে যদি অতিলোভ না করত, তাহলে তাকে সোনার হাঁসকে হারাতে হত না।

তাই একথাই বলা যায়, অতিলোভে তাতি নষ্ট।

লোভে পাপ, পাপে মৃত্যূ।

Related Posts

8 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.