সাকিবের দিনকাল

উপমহাদেশে ক্রিকেট পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো বা খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। ক্রিকেটারদের সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক নয় এমন মানুষ হয় হয়তোবা খুঁজে বের করা সম্ভব হবে না। তো চলুন আজ আমরা জানতে চলেছি এমন এক অন্যতম বিশ্বসেরা তারকা ক্রিকেটার সম্পর্কে যার সম্পর্কে জানলে আপনি হয়তোবা বিস্মিত হতে পারেন। তিনি আর কেউ নন। আমাদের বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। দেশে, দেশের বাইরে সমানভাবে জনপ্রিয় সাকিব-আল-হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে তেরো বছর ধরে মাতিয়ে রেখেছেন সমানভাবে। সাকিব আল হাসানের জন্ম বাংলাদেশের একটি জেলা মাগুরা 26 শে মার্চ 1987 সালে৷ সাকিব আল হাসানের কোন ভাই নেই। তার একমাত্র বোন- নাম জান্নাতুল ঋতু সাকিব আল হাসানের বাবা একজন সাবেক ফুটবলার। এবং তার মা একজন গৃহিনী সাকিবের ছোটবেলা থেকেই তার বাবার ইচ্ছা ছিল যে সাকিব আল হাসানকে তার মতন একজন ফুটবলার বানাবেন। কিন্তু সাকিবের মন পরে থাকত সবসময় ক্রিকেটে। সাকিব আল হাসান এবং শিশিরের বিয়ে হয়েছিল মনে রাখার মত একটি দিনে। 2012 সালের ডিসেম্বর মাসের 12 তারিখে। অর্থাৎ 12-12-12 তারিখে।যা হাজার বছরে একবার আসে। বর্তমানে সাকিব একজন কন্যা সন্তানের জন্মদাতা। সাকিব আল হাসানের কন্যা আলাইনা। শাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেটার দের মধ্যে একজন। তার টাকার পরিমাণ জানলে আপনি হয়তো অবাক হবেন। একটি ক্রিকেট বিষয়ক প্রতিবেদন সাকিব আল হাসানের সম্পর্কে একটি লাইফ-স্টাইল প্রতিবেদন লিখে সেখানে উল্লেখ করেন, সাকিব আল হাসানের বর্তমান সম্পত্তির মোট সাড়ে 300 কোটি ডলার। তিনি বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি।আপনি অবাক হতে পারেন এই যেনে যে, সাকিব আল হাসান 13 বছর এ এত টাকা করলেন কিভাবে? আরে ভাই শুধু তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে তার বেতন পেয়ে থাকেন? আইপিএল, বিপিএল, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ সহ বিভিন্ন ধরনের খেলা থেকে সাকিব আল হাসানের মোট আয় প্রায় 200 কোটি ডলারের কাছাকাছি। দেশি বিদেশি ক্রিকেটারের মতো সাকিব-আল-হাসান একমাত্র ক্রিকেটার যিনি কিনা তিনের অধিক লিগে খেলে থাকেন। এছাড়াও শাকিব আল হাসান দেশের বিভিন্ন এডভেটাইজ করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে থাকেন। শুধু কি তাই? তিনি তার ব্যক্তিগত ব্যাবসায় অনেক ভাবে সফলতা অর্জন করেছেন। তার একটি বড় কসমেটিকস এর ব্যবসা রয়েছে। তিনি ব্যাংক থেকে গৃহীত মুনাফা কখনোই গ্রহণ করেন না। এছাড়া সাকিব আল হাসানের অন্য সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সাকিব-আল-হাসান মোট 13 টি এতিমখানা এবং বৃদ্ধাশ্রম নিজে চালান। ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করার জন্য তার একটি ক্রিকেট হান্ড প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বন্ধুরা আশা করি আপনাদের আর্টিকেলটি অনেক ভালো লেগেছে। আপনি যদি সাকিব প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন এবং আপনার যদি আর্টিকেলটি খুবই ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার অন্য আর্টিকেলগুলো পড়ার জন্য আমন্ত্রণ রইল। আর্টিকেলটি শেয়ার করে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ!!!

Related Posts

8 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.