মানসিক চাপ কমানাের
উপায় কী?
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই?
আমরা দেখি যে, বর্তমানে শহুরে লোকদের মাঝে মানসিক চাপ বেশি লক্ষ করা যায়।
শরীর স্বাস্থ্য, মনকে সুস্থ রাখতে মানসিক চাপ প্রতিরোধ করা খুবই জরুরি। মানসিক চাপ বিভিন্ন কারণে হতে পারে,তাই এর কারণ জেনে তারপর তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হবে।
সাধারণত মানসিক চাপ কমানো কত গুলো সহজ উপায় রয়েছে যেমনঃ-
১/ নিয়মিত ব্যায়াম করা
২/ মনকে শান্ত রাখা।
৩/ সঠিক মাত্রায় ঘুম।
৪/ সঠিক মাত্রায় খাওয়া দাওয়া।
৫/ যোগ ব্যায়াম ও ধ্যান করা।
তবে আজকে যোগ বিয়াম সম্পর্কে আলোকপাত করব।
আমরা অনেকেই জানি যােগব্যায়াম মানসিক সুস্থতা, দুশ্চিন্তা, ঘুমের সমস্যা প্রভৃতি কাটাতে সাহায্য করে। এর বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা ও আজকাল উন্মােচিত হচ্ছে। অনেক ধরনের যােগব্যায়াম এসব ক্ষেত্রে ভালাে ফল দেয়। তবে প্রতিদিনের হাজার কাজের ব্যস্ততার মধ্যে ব্যায়ামের সময় বের করা খুব কঠিন।
তাই অল্প সময়ের ব্যায়ামে কতটা সুফল পাওয়া যায়, সে বিষয়টির প্রতি বিজ্ঞানীরা মনােযােগী হয়েছেন।
অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে,
প্রতিদিন মাত্র চার বা পাঁচ মিনিটের সামান্য।
শ্বাস-প্রশ্বাস (ব্রেদিং) ব্যায়ামে চমৎকার ফল
পাওয়া যায়। এ জন্য খুব বেশি প্রস্তুতিও লাগে না। বিছানায় শুয়ে নাক দিয়ে ধীরে
ধীরে বুকভরে শ্বাস নিন, পেট ফুলিয়ে
দিন। এতে ফুসফুস প্রসারিত হওয়ার বেশি স্থান পাবে। কয়েক সেকেন্ড শ্বাাস ধরে রাখুন। এরপর এক, দুই, তিন,…
পাঁচ পর্যন্ত গুনতে গুনতে ধীরে ধীরে স্বাস ছাড়ুন। এ রকম চারবার করুন। ব্যস,আপনার স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ হয়ে গেল। এ ব্যায়াম দিনে কয়েকবার করতে পারেন।নিয়ন্ত্রিত স্বাস-প্রশ্বাস শুধু মানসিক চাপই কমায় না, সেই সঙ্গে শরীর সতেজ রাখে।
দেহের রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়ায়।
স্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম কীভাবে মানসিক চাপ কমায়, সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চলছে। আমরা জানি, স্নায়ুর স্বয়ংক্রিয়
প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা হার্টরেট, হজমপ্রক্রিয়া ও
মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা, করটিসল হরমন
নিসেরণ নিয়ন্ত্রণ প্রভুতি কাজ করে। একটি
তত্ত্ব অনুযায়ী, ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের ফলে স্নায়ুর স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া
ব্যবস্থা ইতিবাচকভাবে প্রকাশিত হয় এবং
মানসিক চাপ প্রশমন সহজ হয়। শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণের সাধারণ ধারা সচেতনভাবে
নিয়ন্ত্রণ করলে মস্তিষ্ক বিশেষ সংকেত
পায়। তখন সে স্নায়ুমণ্ডলীর প্যারাসিম প্যাথেটিক ব্রাঞ্চকে সমন্বিত করে। এভাবে মানসিক চাপ প্রশমিত হয়। আপনি ধীরে ধীৱে ও অবিচলভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করলে মস্তিষ্ক এই সংকেত পায় যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে।তাই দুশ্চিন্তা দূর হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনি যদি ঠিকভাবে
খাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম নিয়মিত করেন,
– তাহলে মন সুস্থ থাকবে।
আজকে এতটুকুই, আল্লাহ হাফেজ।
7 Comments
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
Khub valo likhechen. Aro lekha chai
ধন্যবাদ ভাই
nice post
VALO POST
nice
Nice
good