বিবর্তন বাদ তত্ত্ব অনুসারে সেসব বিষয় গুলো অবশ্যই জানা উচিত

পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি

বৈচিত্রময এই পৃথিবীত আমরা যেসব জীবের সঙ্গে পরিচিত তাদের মধ্যে দশ লাখের বেশি প্রান প্রজাতি এবং চার লাখের মত উদ্ভিদ প্রজাতি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে ৷ এক সময মানুষের ধারনা ছিল প্রানী বুঝি অপরিবর্তনীয় অর্থ্যাৎ সৃষ্টির আদিতে পৃথিবী যে আকার বা আয়তন ছিল এখনো সেরকমই থাছে অর্থাৎ তার কোন পরিবর্তন ঘটেনি মানুষ ভাবতো আদি জীব জগতের সঙ্গে বর্তমান কালের জীব জগতের কোন পার্থক্য নেই কিন্তু খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী তে জেনোফেন নামের একজন বিজ্ঞানী প্রথম কতকগুলো জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন ৷ তিনি প্রমাণ করেন যে অতীত এবং বর্তমান যুগের জীবদেহের গঠনে যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটেছে অর্থাৎ জীব জীবদেহের আকার অপরিবর্তনীর নয়।

খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে গ্রিক দার্শনিক তরিস্টটল প্রমান করেন যে জীব জগতের বিভিন্ন জীবের ভেতর এক শ্রেণীর জীব অন্য শ্রেণীর জীব থেকে অপেক্ষাকৃত উন্নত এবং জীবগুলো তাদের পুর্বপুরুষ থেকে উৎপত্তি লাভ করে বিবর্তন বা অভিব্যক্তির মাধ্যমে ক্রমাগত পরিবর্তিত ও রুপান্তরিত হয় বর্তমান রূপ ধারণ করেছে ৷ বিবর্তন একটি মন্থর ও চলমান প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিযার মাধ্যমে গঠগত ভাবে সরল জীবন থেকে জটিল জীবনের উৎপত্তি ঘটেছে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর মতানুসার প্রায় সাড়ে চারশত কোটি বছর আগে এই পৃথিবী একটি উত্তপ্ত গ্যাস পিন্ড ছিল ৷

এই উত্তপ্ত গ্যাস পিন্ডি ক্রমাগত তাপ বিকিরণ করার এবং তার উত্তাপ কমে যাওয়ার ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে তরল অবস্থা প্রাপ্ত হয় ৷ পরে এই পিন্ডটি বাইরের দিক থেকে ভেতরের দিকে ক্রমশ কঠিন হতে থাকে এবং উদ্ভূত জলীয বাষ্প থেকে মেঘের সৃষ্টি করে ৷ ঐ রকম মেঘ থেকে বৃষ্টি হওয়ার পৃথিবীর কঠিন বহিঃস্তরে জলভাগ অর্থাৎ সমুদ্রের আবির্ভাব হয়। এক সময় সমুদ্রের পানিতে প্রানের আবির্ভাব হয়। এবং সমুদ্রের পানিতে সৃষ্ট জীবকুলের ক্ৰমাগত পরিবর্তনের ফলে বর্তমানে র বৈচিত্রময় জীব জগতের সৃষ্টি হয়েছে। গভির যুক্তিচিন্তাভাবনা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আধুনিক মানুষের ধারণা হয়েছে যে জীব সৃষ্টির মুলেই রয়েছে বিবর্তন ল্যাটিন শব্দ EVOLVERI থেকে বিবর্তন শব্দটি এসেছে ৷

ইংরেজ দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ হার্বাট স্পেনসার প্রথম ইভোলিউশন শব্দটি ব্যবহার করেন ৷ যে ধীর অরিরামএবং চলমান পরিবর্তন দ্বারা কোনো সরলতর উদবংশীয জীব পরিবর্তিত হয়ে জটিল ও উন্নততর নতুন প্রজাতির বা জীবের উদ্ভব ঘটে তাকে বিবর্জন বা অভিব্যক্তি বা ইভোলিউশন বলে। সময়ের সাথে কোনো জীবের পরিবর্তনের ফলে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয় অন তাকে বলে জৈব বিবর্তন |

জীবনের আবির্ভাব কোথায় কাবে এবং কিভাবে হয়েছে?

পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি কিভাবে হয়ে ছিল সে সর্ম্পকে বিভিন্ন মতবাদ বর্তমানে প্রচলিত। আছে ৷ তাবে জীবনের উৎপত্তি যে প্রথমে সমুদ্রের পানিতে হযেছিল এ সম্পর্কে কোনো দ্বিমত নেই। এ সর্ম্পকে বিজ্ঞানীরা থে যুক্তি রেখেছেন সেগুলো এরকম প্রথমত অধিকাংশ জীবকোষ এবং দেহস্থ রক্ত ও অন্যানো তরলে নানা রকম লবনের উপস্থিতি যার সঙ্গে সমুদ্রের পানির খনিজ লবনের সাদৃশ্য রয়েছে দ্বিতীয়ত : সমুদ্রের পানিতে এখনও অনেক সরল এবং এককোষী জীব বাস করে।

পৃথিবীতে কীভাবে জীব সৃষ্টি হয়েছিল সে সর্ম্পকে বিজ্ঞানাদের ধারনা এরকম প্রায় ২৬০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রচুর পরিমাণে মিথেন অ্যামোনিয়া হাইড্রোজেন সালফাইড এবং জলায় বাষ্প নাইট্রোজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ছিল কিন্তু অক্সিজেন গ্যাস ছিল না। অহরহ আগ্নেয়গিরিব০ অগ্নুৎপাতের ফলে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বৃষ্টি ঘটত এবং বজ্রপাতের ফলে এবং অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে এই যৌগ পদার্থগুলো মিলিত হয়ে অ্যামাইনো এসিড ও নিউক্লিক এসিড উৎপন্ন হয়। ল্যাবরেটরিতে এই প্রক্রিযা টি পরীক্ষা করে প্রমান করা হয়েছে ৷ পরে আমাইনো এসিড ও নিউক্লিক এসিড মিলিত হওয়ায় ১০ নিউক্লিও প্রোটিন অনুর সৃষ্টি হয়। নিউক্লিও প্রোটিন অনুগুলো কমে নিজেদের প্রতিরুপ গঠনের ক্ষমতা অর্জন করে এবং জীবনের সুত্রপাত ঘটায | পৃথিবীর উৎপত্তি ও জীবনের উৎপত্তির ঘটনাপ্রবাহকে বলে রাসায়নিক বিবর্তন বা অভিব্যক্তি |

 ধারনা করা হয প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে সৃষ্টি হয় নিউক্লিও প্রোটিন ৷ এই নিউক্লিও প্রোটিন থেকেই সৃষ্টি হয প্রোট ভাইরাস এবং তা থেকে সৃষ্টি হয় ভাইরাস ৷ ভাইরাস একটা অবস্থা নির্দেশ করে যেটি হচ্ছে জীব ও জড়ের মধবর্তী অবস্থা নিউক্লিও প্রোটিন > প্রোটো ভাইরাস > ভাইরাস

এরপর সম্ভবত উদ্ভব হয ব্যাকটেরিযা এবং আরও পর সৃষ্টি হয় প্রোটোজোয়া | ব্যাকটেরিয়ার নিউক্লিয়াস আদি প্রকৃতির তাই এদেরকে আদি কোষ বলা হয় ৷ পরে প্রোট জোয়ানদের দেহে দেখা গেল সুগঠিত নিউক্লিয়াস | কিছু এককোষী জীবদেহে সৃষ্টি হলো ক্লোরফিল ফলে একদিকে যেমন খাদ্য সংশ্লেষ সম্ভব হলো তেমনি খাদ্য সংশ্লেশের উপজাত হিসাবে অক্সিজেন সৃষ্টি হতে শুরু হলো ৷ এক কোষ থেকে বহুকোষী | অন্যদিকে উদ্ভিদ ও প্রাণী দুই ধারায় জীবনের অভিব্যক্তি বা বিবর্তন হতে শুরু হল।

বিবর্তনের স্বপক্ষে প্রমাণ

বিবর্তনের আলোচনায় মুলত দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয় ৷ একটি হলো বিবর্তন যে হয়েছে তার প্রমান অপরটি হলো বিবর্তনের পদ্ধতি। অর্থাৎ কীভাবে জীব জগতে বিবর্তন এসেছে তার বর্ণনা ৷ প্রান সৃষ্টির পর থেকে কোটি কোটি বছর ধরে জীব জগতের যে পরিবর্তন বা বিবর্তন ঘটেছে, তার স্বপক্ষে একাধিক প্রমাণ আছে যেমন,অঙ্গ সংস্থান সম্পর্কিত প্রমান 

Related Posts

19 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.