বায়ুদূষণের প্রভাব,কারণ ও এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার।

বায়ুদূষণ।বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা গুলোর একটি।আজকে এই বায়ুদূষণ কিভাবে হয়,এর ক্ষতিকর প্রভাব ও তা প্রতিরোধ করতে কি কি করতে হবে ও এর প্রতিকার গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।

বায়ুদূষণের অসংখ্য ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।বায়ুদূষণের কারণে পৃথিবীতে প্রাকৃতিক দূর্যোগ বেড়েছে।এর ফলে শ্বাসজনিত রোগের সংখ্যা বেড়েছে।এছাড়াও এর কারণে নতুন নতুন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে।এসব ছাড়াও আরো অনেক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে বায়ুদূষণের।

পৃথিবীর যে কয়টি বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হলো বায়ুদূষণ।এই বায়ুদূষণের কয়েকটি কারণ হলোঃ

১/বৃক্ষনিধনঃআমরা জানি গাছ বাতাস থেকে ক্ষতিকর কার্বণ ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে ও মানুষের বেচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অক্সিজেন বাতাসে ছাড়ে।স্বাভাবিক ভাবেই সেই বৃক্ষ নিধন করা হলে বাতাসে কার্বণ ডাই অক্সাইড কেও শোষণ করবেনা ও অক্সিজেন সরবরাহ ও হবেনা।ফলে বাতাসে ক্ষতিকর কার্বণ ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাবে ও বায়ুদূষণ হবে।

২/কলকারখানা ও ইট ভাটার কালো ধোয়াঃঃ
কলকারখানা ও ইট ভাটার কালো ধোয়ার মধ্যে থাকে সালফার ডাই অক্সাইড সহ মানুষ,অন্যান্য প্রাণি ও এক কথাই সমগ্র পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর সব গ্যাস।যা বাতাসে মিশে গিয়ে বায়ু দূষিত করে।
৩/যানবাহনের কালো ধোয়াঃঃ
যানবাহনের কালো ধোয়ায় অবস্থিত সালফার
ডাই অক্সাইড বাতাসের সাথে মিশে গিয়ে তা বায়ুদূষণ করে থাকে।
৪/খনিজ তেলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যাবহারঃ
খনিজ তেলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যাবহারের ফলেও বায়ুদূষণ হয়।

এই তো গেলো কারণ।এবার একটু দেখা যাক প্রতিরোধের উপায়গুলো।

১/বনায়নঃবনায়ন বলতে অধিক পরিমাণে বৃক্ষ রোপন কে বোঝায়।এর ফলে গাছপালা বাতাস থেকে ক্ষতিকর কার্বণ ডাই অক্সাইড নিয়ে তার বিনিময়ে অক্সিজেন দান করবে।এবং যা আমাদের ও পৃথিবীর জন্য মঙ্গল জনক।
২/কলকারখানার কালো ধোয়া নিয়ন্ত্রনঃ
কলকারখানার কালো ধোয়া নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে বাতাসে ক্ষতিকর সালফার ডাই অক্সাইডের মিশ্রন থেকে রক্ষা করা যাবে।এর ফলে বায়ুদূষণ রোধ হবে।
যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের ব্যবহারঃ
প্রাকৃতিক তেল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করলে তা থেকে বেশি ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়।যা বাতাসকে দূষিত করে।অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে গ্যাস কম ধোয়া সৃষ্টি করে।ফলে বায়ুদূষণ প্রতিরোধ সম্ভব হবে।
পারমাণবিক শক্তি ব্যাবহার রোধঃঃ
পারমাণবিক শক্তির ব্যাবহার ব্যাপক ভাবে বায়ু দূষিত করে।এই পারমানবিক শক্তির ব্যবহার রোধ করতে পারলে বায়ুদূষণ ও রোধ সম্ভব।

এবার এর প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

যেকোন জিনিসের ই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো।তবে যা হওয়ার তা হয়েছেই।তাই বায়ুদূষণের প্রতিকার করতে হবে।এর প্রতিকারের জন্য প্রয়োজন অধিক পরিমাণ বনায়ন।ও ধোয়া সৃষ্টি করে এমন সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ।

আমাদের এখন উচিত বায়ুদূষণ রোধে মনোযোগী হওয়া।তা না হলে হয়তো আমাদের অস্তিত্ব আর বেশিদিন থাকবেনা।

Related Posts

9 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.