Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

বাস্তব জীবনের ভালবাসা, নাকি আত্নহত্যা, নাকি সমাধান, কোনটি?

আসসালামু আলাইকুম, আসা করি সবাই ভালো আছেন, আজকে আমি যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব,সেটা হল
” ভালবাসা “
যদি সবাই ভালভাবে বুঝতে চেস্টা করেন তাহলে আপনার বাস্তব জীবনে অনেক কাজে আসতে সাহায্য করবে এমনকি আপনার ভবিষ্যতে ও সন্তানদের শিখানোর কাজেও । মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব তা সবাই জানে কারণ মানুষের মধ্যে মধ্যে আল্লাহ যেসব গুণাবলি দিয়েছেন তা অন্য কোনো প্রাণীদের মধ্যে নেই। আবেক,বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য্য, বিবেক, এগুলোর সঠিকভাবে বুঝতে পারলে অবশ্যই সঠিক পথে চলা যায়। তবে “ভুল ” এটা স্বাভাবিক, মানুষ মাএই ভুল করে তবে অতিরিক্ত ভুল করাটা কিন্তু অস্বাভাবিক।

Marketing

ভালবাসা কি?
এটা কাওকেই বলতে হবে না, কারন আজ তিন,চার বছরের ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে সবাই জানে। কিন্তু সমস্যা টা একানেই ওরা জানে না যে ভালবাসায় আছে অনেক রং, ধরন
ও পার্থক্য।
আজকাল দেখবেন ক্লাস ফাইবে পড়া ছেলেমেয়েরাও প্রেম করছে,

কিন্তু কেন?
বিষয়টা শেষে আলোচনা করছি। ভালবাসা হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বন্ধন যদি তা সঠিক হয়। যে ভালবাসাটা মা-বাবার জন্য রয়েছে সেটা ভাইবোনদের সঙ্গে নয়,আবার যেটা ভাই বোনের মধ্যে রয়েছে সেটা প্রেমিক প্রেমিকা বা স্ত্রীর জন্য নয়। এক জনের প্রতি অন্য জনের দ্বায়িত্ব কর্তব্য,
পরিবারে মা-বাবা, ভাই-বোন, সবাই একসাথে থাকা, এ সবকিছুই কিন্তু ভালবাসার বন্ধনের ফলেই হচ্ছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয়!

আজ কিছু মানুষেরা ভালবাসা শব্দটা শুধু প্রেমিক প্রেমিকার জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। রাস্তায় ভাইবোন একসাথে হাটলেও প্রেমিক -প্রেমিকা মনে করে। এর পেছনে কিছু উপসংস্কৃতিও রয়েছে আর রয়েছে কিছু দুঃচরিত্রের মানুষ। কিছু কিছু মানুষ দেখবেন ভালবাসার নামে এমন কিছু করতে যা ভালবাসার বদলে ঘৃণার মনোভাবটা বাড়িয়ে তোলে। উপসংস্কৃতির কথা আর কি বলব, বাংলাদেশে বর্তমানে এমন সব ফ্লিম বানানো হয় যা শুধু প্রেম কাহিনী নিয়ে, আবার তাও অবান্তর বিষয় নিয়ে, সামাজিক মূল্যবোধ, সম্প্রীতি, এসবের বিন্দুমাএও নেই। এসব দেখে ছোট ছেলেমেয়েও শিখছে যে কিবাবে একজনকে প্রপোজ করতে হয় প্রেম করতে হয়।

এই সময় দেখবেন কেও কেও আবেগের বশবর্তি হয়ে প্রেম করছে ও তাদের সম্পর্কটা অনেকদিন ভালোই চলছে কিন্তু কোনো এক সময় কোনো এক কারনে তাদের সম্পর্কটা ভেঙ্গে গেছে, এবং এর ব্যর্থতার কারণে অনেকেই আত্নহত্যাও করছে,
কিন্তু কেন?
এইতো আগে যে বললাম, আবেক, বিবেক, ধর্য্য,ও বুদ্ধিমত্তা, এগুলোর সঠিক ব্যবহার হয়নি। মূলত আটারো বছরের কম বয়স এই বয়সে সঠিকভাবে সবকিছু বোঝার ক্ষমতা তাকে না।

তারপরও বোঝার চেস্টা করলে এবং অন্যের যথাযথ সাপোর্ট পেলে এগুলো অনেকটাই সম্ভব হয়।
আমরা সবাই জানি যে আত্নহত্যা একটি মহাপাপ, যদি কোনো কারনে আমরা ব্যর্থ হই বা ব্যথা পাই তাতে কস্ট পাওটা স্বাভাবিক। তাই আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে, এই সময় আবেগের ব্যবহার টা করা যাবে না, বিবেক আর ধৈর্যর ব্যবহার করতে হবে। জীবন বারবার নয় একবারওই আত্নহত্যা মহাপাপ জেনেও যদি এগুলো করি তাহলে জীবনের সারমর্ম টা কোথায় গেল। তাই এই রকম ঘটনা যদি কারো সাথে ঘটতে যায় তাহলে বিষয় করে অভিভাবকরা তাদের পাশে থেকে তাদেরকে বোঝাতে হবে।

এইসময় যদি আমারা তাদেরকে আও আঘাত দেওয়ার চেস্টা করি তাহলে এই রকম প্রবণতা আর বাড়তে থাকবে।
ভালবাসা হচ্ছে আত্নীক সম্পের্ক।
এই সম্পর্ক শুধু নিছক সময়ের জন্য নয়,সারাজীবনের জন্য।
শুধুমাএ আবেগের দ্বারা ভালবাসার সম্পর্কে জরালে সে সম্পর্ক দীর্ঘদিন থাকেনা। তাই ভালবাসার সম্পর্কেটা চাই চিরন্তন। যাইহোক আসা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন।

তাই সবশেষে এটাই বলতে চাই কবিতার মাধ্যমে ।

বুকভরা মায়া,মমতা, স্নেহের আশা,,
জীবনের প্রতি মূহুর্তে তার পাশে থাকা,
এইতো ভালবাসা।
ভালবাসা নয় কোনো নিছক সম্পর্কের বন্ধন,,
সবার বেলায় ভালবাসা মায়ার নিবন্ধন।

Related Posts

15 Comments

Leave a Reply