প্রাথমিক চিকিৎসা, ডা: শাহনাজ সুলতানা সুইটি

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

জ্বর, কাটা, ভেঙ্গে যাওয়া, মচকে যাওয়ার সমস্যাগুলো তো প্রায়ই তৈরি হয়। এসব ছোটখাটো অসুখ-বিসুখে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।  বরঞ্চ এইসময় গুলোতে একটু মাথা ঠান্ডা রেখে সঠিক ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়াটাই বেশি জরুরী।

জ্বর:

জ্বর মানে তো জানোই, ১০০ ডিগ্রি বা এর উপর শরীরের তাপমাত্রা উঠলেই জ্বর হয়। জ্বর আসলে নিজে নিজেই কিছু করতে পারো-

* ছোট গামছা বা রুমাল ভিজিয়ে পানিতে চিপে নিয়ে সারা শরীর মুছে নিতে পার। কপালে ভেজা কাপড়/রুমাল ভাজ করে পানি পট্টি দিবে। এতে করে জ্বর ২-৩ ডিগ্রি কমানো সম্ভব।

* আর প্রতিদিন অবশ্যই পরনের কাপড় পরিবর্তন করবে।

* জ্বরের মধ্যে গোসল মিস না দেওয়াইটাই ভালো। তবে বেশী সময় পানিতে থেকোনা ঠান্ডা বেড়ে যেতে পারে।

* আর শরীরে ঘাম অবস্থায় থেকোন, ঘাম মুছে ফেলতে হবে। না হলে ঘাম থেকেই বুকে ঠান্ডা ও জ্বর আরও আসতে পারে।

এজন্য জ্বরের মধ্যে গায়ে অনেক বেশী ভারী কাপড় নিওনা।

*আর জ্বর ১০১ ডিগ্রি হলে সকালে ও রাতে খাবার পর ১টা করে Paracetamol জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিও। আর খাবার আগে ১ টা gastric এর ওষুধ যেমন- Maxpro, Losectil, Omeprazole, Esomeprazole,  ইত্যাদি খেয়ে নিও। তারপর খাবার খেয়ে Paracetamol খেয়ো।

* তবে জ্বর যদি ৩ তিনের বেশী সময় ধরে থাকে ওষুধ খাবার পরও তাহলে ডাক্তার দেখিয়ে antibiotic খেতে হবে। আর কিছু টেস্ট করেও জ্বরের কারণ বের করা দরকার। কারণ, জ্বর কোন অসুখ নয়, অন্যকোন অসুখের লক্ষণ মাত্র। এজন্য সে অসুখকে খুজে বের করে সে অনুযায়ী treatment নেয়া প্রয়োজন।

কাটা-ছেড়া:

কোথাও কেটে গেলে বিচলিত না হয়ে খুব দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।

* কাটা স্থানে আঙ্গুল বা পরিষ্কার কাপড় বা তুলা দিয়ে চেপে ধরে রাখো ৪/৫ মিনিট। এতে দেখবে কিছু সময় পর রক্তপাত কমে আসবে বা বন্ধ হয়ে যাবে।

* এর ঐ জায়গায়টা পরিষ্কার পানি/স্যাভলন পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে ফেল। এরপর ঐ জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক মলম যেমন-Povisep, Savlon Cream  লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে রাখবে। ২/৩ দিন পর ঠিক হয়ে যাবে। দেখবে স্বাভাবিক সব কাজ করতে পারবে। আর যদি ব্যাথা থাকে ঐ স্থানে তাহলে ১টা Paracetamol খেয়ে নিতে পার।

*আর যদি বেশী কেটে যায় বা থেতলে যায় আর এভাবে চেষ্টা করার পরও রক্তপাত বন্ধ না হলে সাথে সাথে ডাক্তার দেখিও।

ভাঙা বা মচকানো:

আমাদের শরীরের একটা হাড়ের সাথে আরেকটা হাড়ের যে জয়েন্ট তার চারপাশে থাকে লিগামেন্ট, যা জয়েন্টকে একটা সীমার মধ্যে রাখে। আর এই লিগামেন্ট এ টান পড়লে বা ছিড়ে গেলে একেই মচকে যাওয়া বলে। হালকা হাত পা তো মচকাতেই পারে, এটা তেমন কোন বিষয় নয়। এজন্য-

* মচকে যাবার সাথে সাথেই এ স্থানে বরফের সেক দাও। সরাসরি না দিয়ে কাপড় পেচিয়ে দাও। ২০ মিনিট পর পর ৫/৬ বার দিতে পার।

* এরপর শক্ত ইলাস্টিকের ব্যান্ডেজ দিয়ে জায়গাটা পেচিয়ে রেস্টে রাখ। অন্তত ২৪ ঘন্টা। এরপর গরম সেক দিতে পার।

* মচকানোর ক্ষেত্রে রেস্ট নেয়াটা সবচেয়ে বড় চিকিৎসা।

* ব্যাথার জন্য Paracetamol জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিতে পারো।

Related Posts

19 Comments

  1. ব্রডব্যান্ড রাউটারে পিং এবং স্পিড সমস্যার সমাধান। https://grathor.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a1%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%82/

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.