প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করুন

চুল আমাদের একটি মূল্যবান সম্পদ। যখন আমাদের মাথা থেকে এটি ঝরে যেতে থাকে তখন আমরা বুঝতে পারি এটি আমাদের কতটা টেনশনের কারন।

আজ আমি আপনাদের এরকম কিছু টিপস সেয়ার করবো যেগুলোর মাধ্যমে একদম প্রাকৃতিক উপায়ে নিজের চুল পড়া কমিয়ে আনতে পারবেন। তো চলুন বন্ধুরা বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

বন্ধুরা প্রথমে জেনে নেব ঠিক কি কি কারনে আমাদের চুল ঝরে যেতে পারে সেসব কারণ গুলো:

অনেক কারনেই আমাদের চুল পড়ে যেতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ এখানে সেয়ার করছি।

চুল পড়ার পেছনে একটি অন্যতম কারণ হল বংশগত। যদি কোন পুরুষ কিংবা মহিলার একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরেই চুল পড়ার সমস্যা লক্ষ্য করা যায় এবং তাদের বংশে সেই বিষয়টি ক্রমান্বয়ে দেখা যায়, তবে সেটিকে বংশগত রোগ হিসেবে ধরা হয়।
আর যদি এমন থাকে তাহলে সেটি হইতো আপনি নিজেও অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করে দেখেছেন।
আমরা অনেক সময় হইতো খেয়াল করেছি বা দেখেছি সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে মহিলাদের চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়। এক্ষেত্রে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এরূপ সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। এই সমস্যা অত্যধিক বৃদ্ধি পেলে প্রয়োজনে ডাক্তারের সাহায্য নিতে হয়। এবং ডাক্তারের পরামর্শ মত ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।
চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যার ক্ষেত্রে কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা ও কারণ হয়ে থাকতে পারে। যেমন অসুস্থতা কিংবা অপারেশনের পরে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। এক্ষেত্রে চুল যে পরিমাণ ঝরে যায় তার সাথে পাল্লা দিয়ে চুলের বৃদ্ধি ঘটে না। তবে শরীর সুস্থ হয়ে উঠলে এই সমস্যাটির সমাধান হতে পারে। সেক্ষেত্রে টেনশনের কিছু নেই।
শরীরে হঠাৎ হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চুল ওঠার সমস্যা দেখা দিতে পারে। মূলতঃ গর্ভাবস্থা, প্রসব বা মাসিক বন্ধ হওয়ার পর কিংবা অত্যধিক জন্মনিয়ন্ত্রণ বরি খেলে চুল ওঠার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা একটি সাময়িক সমস্যা হতে পারে। যদি অনেকদিন চলতে থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।
এবার আসি একটি প্রয়োজনীয় তথ্যে থাইরয়েড, অ্যালোপিয়া কিংবা মাথার তালুতে দাদ এর মতন রোগ দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে চুল ঝরার সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। মূলতঃ মাথার ত্বক সংক্রমিত হলেই এই সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। আর যদি এমন হই তবে একটু সচেতন হয়েই চুল পড়া কমানো যাই।
ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, বাত, হৃদপিন্ডের সমস্যা কিংবা মানসিক চাপের কারণে কোন ওষুধ দীর্ঘদিন খেলেও চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নই।
অত্যধিক চিন্তা কিংবা হঠাৎ কোন মানসিক আঘাত পেলে কিংবা ওজন বৃদ্ধির মত সমস্যাগুলি দেখা দিলে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। তবে, এগুলির ক্ষেত্রে কেবল যে মাথার চুল ঝরার সমস্যা বেড়ে যায় তা নয়, শরীরের সর্বত্রই যেমন ভ্রু, চোখের পাতা, শরীরের লোম সব জায়গাতেই চুল পাতলা হতে থাকে। এর প্রধান কারণ হল হেয়ার ফলিকলের ওপর এক ধরনের অপুষ্টির অভাব যার ফলে চুল ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে।
এছাড়াও অনেক কারনে চুলের বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত কিংবা চুল পড়তে পারে।

 

তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কিভাবে প্রাকৃতিক ভাবে চুল পড়া কমানো যাই।

এক্ষেত্রে যাদের চুল হঠ্যাৎ পড়ে যাচ্ছে কিংবা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হচ্ছেনা তারা এই টিপসের মাধ্যমে খুব সহজেই চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন।

তো এবার আসি টিপস এ।

১ম টিপস : অ্যালোভেরার ব্যবহার:=

চুল ও ত্বকের পরিচর্যায় অন্যতম একটি উপাদান হলো অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। এটি সরাসরি যেমন ত্বকে লাগানো যায়, তেমনি এটি খাওয়াও যায়। অ্যালোভেরা শরীরের বহু রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। মূলত চুলে এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। অ্যালোভেরা ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি চুলে যথেষ্ট পুষ্টি জোগায়। এছাড়া এটি চুলকে আর্দ্র এবং মসৃন রাখে। এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত। অ্যালোভেরা গাছের কাঁচা জেল চুলের পরিচর্যায় ব্যবহার করা হয়। অথবা দোকানের প্যাকেটজাত অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি মাথার শুষ্ক ত্বকে লাগালে তৈলাক্ত চুলের সমস্যা, খুশকি, চুলের শুষ্কতা রোধ করা যায়।

*এটি ব্যবহারে কি কি উপাদান প্রয়োজন?

অ্যালোভেরা জেল – ২ চা চামচ

*এটি যেভাবে ব্যবহার করবেন?

= অ্যালোভেরা গাছের থেকে পাওয়া সাদা রংয়ের অ্যালোভেরা জেল সরাসরি স্ক্যাল্পে এবং চুলে লাগাতে পারেন কিংবা দোকানে পাওয়া প্যাকেটজাত অ্যালোভেরা জেলও সরাসরি চুলে লাগাতে পারেন।

= কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি গাছ থেকে তুলে অ্যালোভেরা জেল লাগালে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেটি একবার পরখ করে দেখে নেবেন।

=বাজার চলতি প্যাকেটজাত আলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।এটি মাথার ত্বকে এবং চুলের গোড়া থেকে ডগা অবধি লাগিয়ে ১ ঘন্টা মত রেখে দেবেন।তারপর কুসুম গরম জলে চুলটা ধুয়ে নেবেন।তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারবেন চুলের পার্থক্যটা।সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন এটি করতে পারেন।

 

২য় টিপস: টক দই :-

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের অন্যতম উপাদান হিসেবে পরিচিত টকদই। এটিতে থাকা উপাদানগুলি চুলকে মসৃণ করে তুলতে সহায়তা করে। এছাড়াও টকদইতে থাকা আন্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদানগুলি মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সহায়তা করে। বাইরের দূষণ, স্ট্রেস সবকিছুর ফলে আমাদের মাথার চুল নষ্ট হয়ে যায়। টকদই এর ব্যবহারে চুলে আলাদা ঘনত্ব আসে এবং চুল দই থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান গুলি সংগ্রহ করে। এর মধ্যে কিছু কন্ডিশনিং উপাদান আছে যা চুলকে সুস্থ এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে।

*এটি ব্যবহারে কি কি উপাদান প্রয়োজন?

টকদই – পরিমানমতপাকা কলা – ১ টিঅলিভ অয়েল – ২ চামচমধু – ১ চামচ

*এটি যেভাবে ব্যবহার করবেন?

= টক দই সরাসরি মাথার ত্বকে এবং চুলে লাগাতে পারেন। এছাড়াও প্যাক বানিয়েও লাগাতে পারেন।

=প্যাক হিসাবে পাকা কলা, অলিভ অয়েল, মধু এবং টক দই মিশিয়ে মিশ্রণটি মাথার ত্বকে এবং সম্পূর্ণ চুলে ৪০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন।

=তারপর যেকোন হালকা শ্যাম্পু দিয়ে মাথাটা ধুয়ে নিন।এই প্যাকটি ব্যবহার করার ফলে চুলে আলাদা একটি ঘনত্ব এবং উজ্জ্বলতা আসবে।

=সপ্তাহে একদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। তবে এক মাসের মধ্যেই চুলের মধ্যেকার পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।

 

৩য় টিপস: লেবুর রস দিয়ে চুলের যত্ন :-

চুল পড়া রোধ করার একটি অন্যতম উপাদান হলো পাতিলেবু। এটি চুলে ব্যবহার করার ফলে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মূলতঃ ভিটামিন সির অভাবে চুল পড়া লক্ষ্য করা যায়। লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি চুলের পতন রোধ করে। এছাড়াও, চুলের খুশকি দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এর পাশাপাশি মাথার ত্বকে কোন রকম সমস্যা দেখা দিলে লেবুর রস সেটি দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। লেবুর রস সরাসরি কিংবা প্যাকের মত তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়াও, লেবু সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় চুলকে সুস্থ রাখে এবং চুলের অকালপক্কতা দূর করে। এছাড়াও অ্যান্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য যুক্ত হওয়ায় যেকোন ধরনের ব্রণ ও ফুসকুড়ি এগুলি থেকে মাথার ত্বককে রক্ষা করে।

*এটি ব্যবহারে কি কি উপাদান প্রয়োজন?

পাতিলেবু -হাফডিম- ১ টি

*এটি যেভাবে ব্যবহার করবেন?

=একটি অর্ধেক পাতিলেবু নেবেন।সেটির রস সম্পূর্ণ বের করে মাথার ত্বকে ৫ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করে, ১০ মিনিটের জন্য রেখে দেবেন। দেখবেন যেন ভালো ভাবে মাথার ত্বকে মিশতে পারে।

=তারপর যেকোন সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে মাথার চুলটা ধুয়ে নেবেন।

=সপ্তাহে একদিন করে এই প্রক্রিয়াটি করবেন। এতে চুলে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর হবে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটবে।

=এছাড়াও লেবু, হেনা পাউডার, ডিম এর সাথে উষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে মাস্ক হিসেবেও এক ঘন্টার জন্য মাথায় লাগিয়ে রাখতে পারেন। এটি ও চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।

 

৪র্থ টিপস: চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস :-

 

পেঁয়াজের রস চুলের জন্যে খুবই উপকারী একটি জিনিস। এটি ব্যবহারে আপনার চুলের অনেক সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন। তাছাড়া
চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাতে অন্যতম উপাদান হল পেঁয়াজের রস। পেঁয়াজের রসের মত অন্য কোন উপাদান এত দ্রুত চুল পরিচর্যায় সহায়তা করতে পারে না। পেঁয়াজের রসে থাকা উপাদান চুলকে আরো ঘন করে তোলে। এছাড়াও এরমধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান থাকায় এটি চুলকে আরো পুষ্টি যোগায়। পেঁয়াজে উপস্থিত সালফার চুলের ভাঙ্গন রোধ করে। এছাড়াও চুলের সংক্রমণ রোধ করে চুলকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। পেঁয়াজের রসের মধ্যে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ চুলের অকালপক্কতা রোধ করে। এটির নিয়মিত ব্যবহারে নতুন চুল খুব শীঘ্রই লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে পেঁয়াজের রসের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও এটি চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং খুশকি পরিষ্কার করে মাথার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে।

 

*এটি ব্যবহারে কি কি উপাদান প্রয়োজন?

পেঁয়াজ – প্রয়োজনমত

*এটি যেভাবে ব্যবহার করবেন?

 

= একটি বড় মাপের পেঁয়াজ ৪ ভাগ করে কেটে নিন।তারপর মিক্সিতে পেঁয়াজ টি মিশ্রিত করে নিন।এরপর পেঁয়াজের মিশ্রণটি থেকে কোন নরম কাপড়ের সাহায্যে পেঁয়াজের রস আলাদা করে নিন।

= এরপর পেঁয়াজের রস সরাসরি মাথার ত্বকে এবং চুলের দৈর্ঘ্যে লাগান।মনে রাখবেন পেঁয়াজের রস মাথায় লাগানোর সময় মাথায় আঙ্গুল দিয়ে হালকা মাসাজ করবেন।

= এরপর এক ঘণ্টা শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে চুলটা অমনি ভাবেই রেখে দেবেন।

=কিছুক্ষণ বাদে চুল রসটা টেনে নেবে। তারপর আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেটি দিয়েই শ্যাম্পু করে ফেলবেন।

এক মাসের মধ্যেই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন।প্রয়োজনে চুলের বৃদ্ধির জন্য এবং চুলে উজ্জ্বলতা আনার জন্য পেঁয়াজের রস ও মধু কিংবা অলিভ অয়েল কিংবা কারি পাতা ও ব্যবহার করতে পারেন।

এভাবে করলে আশা করা যাই খুব দ্রুত কাজ দেখতে পারবেন।

 

৫ম টিপস: চুল পড়া রোধে মেথির ব্যবহার :-

আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক খুব সহজে পাওয়া যাই এমন কিছু দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়া।

চুল পড়া রোধ করে চুলের বৃদ্ধির জন্য মেথি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি সহজেই পাওয়া যায়। কমবেশি সকলের রান্নাঘরেই এই উপাদানটি উপস্থিত থাকে। এটি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। খুব শীঘ্র নতুন চুল গজাতে চাইলে কিংবা চুলের বৃদ্ধি করাতে চাইলে মেথি একটি উপযোগী উপাদান। এটি ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন মেথিতে উপস্থিত থাকে যা মাথার ত্বকের রক্ত চলাচলকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়াও মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং আয়রন ও পটাশিয়াম। যা চুলের বৃদ্ধি ঘটায় ও অকালপক্কতা রোধ করতে সাহায্য করে এবং চুলকে মসৃণ এবং ঘন করে তোলে।

*এটি ব্যবহারে কি কি উপাদান প্রয়োজন?

মেথি – ২ চামচ এবং লেবুর রস – ২-৩ ফোটা

*এটি যেভাবে ব্যবহার করবেন?

= মাথার চুলে সরাসরি মেথি ব্যবহার করলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।

= রাতের বেলায় দুই চামচ মেথি এক বাটি জলে ভিজিয়ে রাখুন।

= প্রয়োজন হলে তার মধ্যে লেবুর রস যোগ করতে পারেন।

= সারারাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে চুলের মধ্যে মেথি বেটে মিশ্রণটি লাগিয়ে ফেলুন।

= ৩০ মিনিট রাখার পর যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।অন্যদিকে নারকেল তেলের মধ্যে মেথি বীজ ফুটিয়ে উষ্ণ তেল চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন।

= এটিও চুলের বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে এবং চুলের খুশকির সমস্যা দূর করবে।এছাড়াও অকালপক্কতা দূর করে চুলকে আরো ঘন এবং কালো করে তুলবে।সপ্তাহে একদিন করে এটি করলে এক মাসেই ব্যবধান বুঝতে পারবেন। এটি চুল পড়া রোধ করার অন্যতম একটি উপায়

প্রিয় বন্ধুরা চুল আমাদের মূল্যবান সম্পদ এটির যত্নে আমাদের অবশ্যই ভাবতে হবে উপরের বিষয় গুলো মেনে চললে আশা করা যাই চুলের উন্নতি আসবে।

 

এছাড়া ও আপনারা চাইলে মেহেদি পাতার ব্যবহার করে চুলের উন্নতি করতে পারবেন। মেহেদি পাতা ভালোমত বেটে নিয়ে মাথায় দিয়ে ৩০ মিনিট মত রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে, কিছুদিন এমন করে যত্ন নিলে চুলের উন্নতি হবে। আর চুল পড়া কমাতে উপরোক্ত নিয়ম গুলো এক মাস মেনে চললে ইন্নাশাল্লাহ কাজ হবে।

Related Posts

7 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.