Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

পুদিনা পাতার কিছু উপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার দয়ায় ভালো আছি। আজকে আমি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি পাতা “পুদিনা পাতার উপকারিতা” নিয়ে কিছু কথা বলবো।
অনেক গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ হচ্ছে পুদিনা পাতা। সালাদের সাথে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। এতে সালাদে সুগন্ধ এবং রুচি বৃদ্ধি পায়। পুদিনা পাতা দিয়ে বিভিন্ন সিরাপ,ক্যান্ডি এবং চুইংগাম তৈরী হয়।
পুদিনা পাতার উপকারিতা:
১. চুলের উকুন দূর করতে পুদিনা পাতার রস ব্যবহার করা হয়। তবে শেকড়ের রস ব্যবহার করলে বেশী ফল পাওয়া যায়।
২. রূপচর্চার জন্য পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। মুখমন্ডলকে মসৃণ ও তেল তেলে করতে দুধের সাথে পুদিনা পাতা মিশিয়ে মুখে মাখা যেতে পারে।
৩. ব্রণ দূর করতেও পুদিনা পাতা ব্যবহার হয়।
৪. সর্দি কাশির জন্য পুদিনা পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সর্দি কাশির সময় পুদিনা পাতার রস খেলে অনেকটা নিরাময় পাওয়া যায়।
৫. পুদিনা পাতা মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধে করার সহায়তা করে। এর মধ্যে এক ধরণের অ্যালকোহল আছ। যা দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।
৬. পুদিনা পাতার মধ্যে রোজমেরিক অ্যাসিড থাকে। যা প্রাক প্রদাহী পদার্থ তৈরিতে প্রধান করে। যার ফলে হাঁপানি হয় না। এ ছাড়াও পুদিনা পাতার রস প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। যার ফলে গলা পরিষ্কার থাকে।
৭. পুদিনা পাতা পিষে রস করে দুই/তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পান করলে শরীরের ক্লান্তিভাব দূরীভূত হয়।
৮. যাদের হেঁচকি রোগ রয়েছে, তাঁরা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোলমরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে খেলে হেচকি রোগ দূর হয়ে যাবে।
৯. মুখের অসহ্যকর দুর্গন্ধ দূর করতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। এই গাছের পাতা গরম পানির সাথে মিশিয়ে কুলি করলে মূখের দূর্গন্ধ দূরীভূত হয়।
১০. পুদিনা পাতা শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে,মুখের অরুচি ও গ্যাসের সমস্যা দূরীভূত করে,কর্মক্ষমতা বৃদ্বি করে এবং শরীর আরামে রাখে।
১১. অনেক মূত্ররোগ আছে যার কারণে প্রস্রাব কম হয়। কিন্তু যে সব ক্ষেত্রে নাতিশীতোষ্ণতার সাময়িকভাবে অল্প অল্প প্রস্রাব হতে থাকে। অনেক সময় দাহ হতে থাকে, সেব ক্ষেত্রে পুদিনা পাতা দশ থেকে বারো গ্রাম বেটে তার মধ্যে সামান্য পরিমানে লবণ ও কাগজি লেবুর রস ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে শরবত বানিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার বার খেতে হবে।
১২. বমিতে পিত্তে শ্লেষ্মার জ্বর, অম্লপিত্ত, আমাশয়, অজীর্ণ, উদরশূল প্রভৃতি কারণে বমি হতে পারে। আবার রোদে ঘোরাফেরা করে ঠাণ্ডা পানি খেলে, খালি পেটে থেকে পরিশ্রম করলে বমি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে পুদিনার শরবতের সাথে এক চা চামচ তেঁতুল ও চিনি মিশিয়ে দুই থেকে তিনবার বার করে কয়েকদিন খেতে হবে।
১৩. চায়ের সঙ্গে পুদিনা খেলে ঠান্ডা লাগা কমে যায়। যার ফলে সর্দি কাশি তেমন হয় না।
আজ এই পর্যন্ত।
অন্য সময় অন্য কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো।
ভালো থাকুন।
সুস্থ থাকুন।

Marketing

Related Posts

14 Comments

Leave a Reply