Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

পরোক্ষ ধুমপানেও হতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সার। জেনে নিন বিস্তারিত।

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আপনারা সবসময় ভাল থাকেন এটাই কাম্য।আপনারা যেন আরো ভাল ও সুস্থ্য থাকতে পারেন তার জন্যই আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস এবং আপনাদের কিছু ভ্রান্ত ধারনা দূর করব।তাহলে চলুন শুরু করি-

Marketing

আমদের ভেতরে অনেকেই হয়তো কম বেশি ধুমপান করি।কেউ অনেক বেশি আবার কেউ হয়তো কম।কিন্তু ধুমপান করলে যে ফুসফুসের ক্যান্সার হয় এটা জানার পরেও আমরা ছাড়তে পারিনা।কেউবা অভ্যাসের কারনে কেউবা শখ করে।কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার এই ধুমপানের জন্য যে শুধু আপনারই ক্ষতি হচ্ছে তা কিন্তু নয়।আপনার আশেপাশে যে মানুষ গুলো আছে,হতে পারে আপনার ভাই,বাবা,মা,সন্তান তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।ক্যান্সার যে শুধু আপনি খাচ্ছেন বলে আপনারই হবে এমন কিন্তু নয়,যারা পরোক্ষভাবে ধুমপানের শিকার হচ্ছে তাদের ও হতে পারে।আসুন জেনে নিই ফুসফুসের ক্যান্সার ব্যাপারটি নিয়ে-
ফুসফুসের ক্যান্সার একটি বিশেষ ধরনের ক্যান্সার মাত্র।পৃথিবীর সকল মানুষ ধুমপাম বন্ধ করে দিলেই যে ফুসফুসের ক্যান্সার বন্ধ হয়ে যাবে এমন নয়।২০০৫ সালের ঘটনা। জুলিয়ার শরীর টা মোটেই ভাল যাচ্ছিল না।গত ক মাস ধরেই তিনি শরীরে এক ধরনের ব্যাথা অনুভব করছিলেন।মাঝে মাঝে শ্বাসরুদ্ধকর হয়ে যাবার মতন অবস্থা হয়।দেখা করলেন চিকিৎসক এর সংগে।পরীক্ষায় দেখা গেল জুলিয়ার ডান বুকে পানি জমেছে।পানি অপসারণ করার পর ধরা পড়লো তার বুকে ৩.৫ সেন্টিমিটার আয়তনের একটা টিউমার হয়েছে।
এটি ছিল মুলত ফুসফুসের ক্যান্সার
ডাক্তারি পরিভাষায় এটাকে বলা হয় এডোনোকার্সিনোমা বা গ্রন্থিকর্কাটাব
ুদ। অথচ জুলিয়া জীবনে একটিও সিগারেট খাননি।তার ডান ফুসফুসের টিউমার ছড়িয়ে পড়ে তার বুক,কাধের হাড় এবং লসিকা গ্রন্থিতে।জুলিয়া বলেন জীবনে কখনো সিগারেট খাইনি।আমার স্বাস্থ্যের ও কোনো সমস্যা ছিল না।ম্যামোগ্রাম,
পাপ্টেস্ট ইত্যাদি সাধারণ টেস্ট করিয়েছি।ভাবিনি এমন ঘটবে,আমি মর্মাহত। তাই শুধু ধূমপায়ী রাই যে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এমন নয়।কখনো কখনো অধুমপায়ীরাও এমন রোগের শিকার হতে পারেন।

তাই আমাদের নিজ দায়িত্বে যা যা করা উচিতঃ
-যদি সম্ভব হয় তাহলে ধুমপান করা ছেড়ে দেওয়াই ভাল।
-পাবলিক প্লেসে ধুমপান করবেন না।করলে নিজে একাকি করবেন।
-শিশুদের সামনে ধুমপান করবেন না।
-গর্ভবতী কোনো মহিলার সামনে ধুমপান করবেন না।এতে করে তার অনাগত সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
-নিজে ধুমপান করলেও কাওকে ধুমপান করতে উৎসাহিত করবেন না।
-আপনার সন্তানকে নৈতিকতার শিক্ষা দিন।
আমাদের একটু সচেতনতাই পারে আমাদের আর আমাদের চারপাশের মানুষ গুলোকে সুস্থ রাখতে।আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি ধুমপান মুক্ত সমাজ গড়বো, পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ রাখবো।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

9 Comments

Leave a Reply