পঞ্চম সপ্তাহের সপ্তম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট পার্ট ৩

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়।

এসাইনমেন্ট এর উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আমি আজ নিয়ে এসেছি পঞ্চম সপ্তাহের  ৭ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট । আশা করি আপনাদের উপকার হবে।

#৭ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট
(গ)উদ্দীপকে বর্নিত ক সাহেবের মধ্যে আখলাকে হামিদাহ এর শালিনতার গূনটি বিদ্যমান।
শালীনতার আরবি প্রতিশব্দ হলো ‘তাহবির’। যার অর্থ হলো ভদ্রতা,নম্রতা,লজ্জাশীলতা।আচার আচরণে, কথা বার্তায়, বেশ ভুষায়, চালচলনে মার্জিত পন্থা অবলম্বন করাকে শালীনতা বলে।শালীনতা মানুষের একটি মহৎ গুণ।এটির গুরুত্ব অপরিসীম। শালীনতাবোধ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।শালীলতা মানুষকে অনুঘাত বান্দা হতে সাহায্য করে।আচার আচরণে শালীন ব্যক্তিকে সবাই পছন্দ করে।শালীন পরিচ্ছন্দ পোশাক আশাক সৌন্দর্যের প্রতীক।শালীন ও ভদ্র আচরণের মানুষ হিদ্দতা এবং ভদ্রতার অধিকারী হয়।সমাজকে ভদ্র ও সুশৃঙ্খল রাখতে শালীনতা গুনটি খুব প্রয়োজন।

শালীনতা পূর্ণ আচরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ত গড়ে ঊঠে।পক্ষান্তরে অভদ্র এবং অশালীন আচরণ বন্ধুকেও দূরে ঠেলে দেয়।মানুষ অশালীন ব্যক্তিকে পছন্দ করেনা।তার সাহচার্য পরিত্যাগ করে।মহানবী (সঃ) বলেছে” মানুষের মাঝে সেই ব্যক্তিই সবচেয়ে নিকৃষ্ট যার অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ তাকে পরিত্যাগ করে। অশালীন ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’য়ালা কখনো পছন্দ করে না না। বরং আশালীন ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’য়ালা ঘৃণা করেন।এ সম্পর্কে মহানবী (সঃ) বলেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা অশালীন ও দুশ্চরিত্র ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন।

শালীনতা মানুষের জীবনের অপরিহার্য বিষয়।মহান আল্লাহ আমাদেরকে শালীনতা নিয়ে শিক্ষা দিয়েছেন।
জনাব ক অফিসে নিয়মিত মার্জিত বেশভূষা আশা যাওয়া করেন।অফিসের সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করেন।তার সহকর্মী এবং সেবাগ্রহীতা তার আচরণে মুগ্ধ। অতএব উদ্দীপকে বর্নিত ক এর মধ্যে আখলাকে হামিদাহ এর শালীনতা গুণটি বিদ্যমান।
(ঘ)জনাব খ এর কাজটি সৃষ্টির সেবা এর সাথে সাদৃশস্যপূর্ণ।
উত্তরঃইসলামি পরিষেবায় আল্লাহ সৃষ্টির প্রতি দয়া ও সসহানুভূতিশীল আদর যত্ন করার নামই হলো সৃষ্টির সেবা।আল্লাহ এই সুন্দর পৃথিবীতে মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা করে পাঠিয়েছেন।আর সৃষ্টিকুলের সবকিছু যেমনঃপশু পাখি,কীট পতঙ্গ, পাহাড় পর্বত, গাছ পালা সৃষ্টি করেছেন।সুতরাং এই সকল সৃষ্টির প্রতি সহানূভুতিশীল হওয়া,এদের যত্ন নওয়া ও রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।

জনাব খ সাহেব এলাকায় অসুস্থ পীড়িত পশু পাখি, বিরাণ বিপন্ন গাছ গাছালির জন্য একটি বহুমুখী ইনিস্টিউশন গড়ে তুলেছেন।
যে সৃষ্টির প্রতি সহানূভুতিশীল হউন আল্লাহ খুশি হয়ে তার উপর রহমত প্রদশর্ন করেন।মহানবী (সঃ) বলেন-
” তোমরা জমিনের অধিবাসিদের উপর দয়া প্রদশর্ন কর।তাহলে আসমানের অধিপতি মহান আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।”(তিরিমিযি)
মানুষের উপর প্রধানত দুই ধরণের কাজ রয়েছে।তা হলোঃ
১.স্রষ্টার প্রতি কর্তব্য
২.সৃষ্টির প্রতি কর্তব্য
সৃষ্টির প্রতি সদয় হলে এর লালন পালন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করলে আল্লাহ খুশি হউন। তেমনি এদের প্রতি অবহেলা করলে নিষ্ঠুর আচরণ করলে আল্লাহ অসুন্তুষ্ট হউন।এ সম্পর্কে মহানবী (সঃ) বলেনঃ
“সমগ্র সৃষ্টিজগত আল্লাহর পরিবার, আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তিই প্রিয় যে তার সৃষ্টির প্রতি বেশি অনুগ্রহ পোষণ করে।
অতএব এই কথা প্রতীয়মান হয় যে, জনাব খ এর কাজটি সৃষ্টির সেবার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে। ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

5 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.