ঢাকায় বেশিরভাগ দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই!
করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সবাইকে বাইরের কাজ শেষে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইইডিসিআর। গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ার পর থেকেই সাধারন জনগন সাথে সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ও মাস্ক কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরই ফলশ্রুতিতে গতকাল রবিবারেই বিক্রি হয়ে যায় বাজারে থাকা সকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
দোকানিরা জানান, আগামী মঙ্গলবার সকালের দিকে আবার বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার যথা রীতি পাওয়া যেতে পারে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন সম্প্রতি ইতালি থেকে দেশে ফেরত এসেছেন। এছাড়া আরও দুজনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্টোরে গিয়ে দেখা যায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড রাব, ফেসমাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। গত রোববার রাতেই সব বিক্রি হয়ে গেছে। পরবর্তীতে মিডফোর্ড থেকে ফোন করে জানায় তারা ১৩০ টাকার হ্যান্ড সেনিটাইজার ও রাব পিস প্রতি আড়াই থেকে তিনশ টাকায় কিনতে চায়। অধিক মুনাফার আশা করলে প্রায় লাখ টাকা মুনাফা করতে পারতাম। বিভিন্ন নামকরা দোকানের বিক্ত্রেতারা বলেন, আমাদের কোনো ফার্মেসিতেই হ্যান্ড রাব, স্যানিটাইজার, মাস্ক নেই। কবে পন্য আসবে সেটাও বলতে পারছি না। কারণ যারা সাপ্লাই দিতেন তারাই বন্ধ করে দিয়েছে। তাছাড়া অতিরিক্ত দামে পন্য কিনে বিক্রি করতে গেলে উল্টা ক্রেতাদের কথা শুনতে হয়। ক্রেতাদের রোষানলে পড়তে চাই না। তাই এসব পণ্য বিক্রিই করি না। অনেক ক্রেতারা গত রোববার রাতে ফার্মেসিতে গিয়ে দেখেন যে দেড়’শ টাকা দামের স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়। অবশেষে কিছু না কিনেই চলে আসি। অনেকে বলছে, দোকানে শুধু লাইফবয় এবং স্যাভলনের হ্যান্ডওয়াশ আছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার আগামীকাল আসতে পারে।
করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৮২৮ জন। বিশ্বের ১০৯টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
15 Comments
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
Good post
good
গুড
bhalo…….
nice
ভালো
Nice
Gd
good
Gd post
Ahaaa
valo
nice post
ভালো
ok