বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া আমরা একটা দিন ও চলতে পারি না। সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবধি বিজ্ঞান ব্যবহার করে থাকি।যেমন আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠি ঘড়ির এলার্মের শব্দে।আর ঘড়ি একটি প্রযুক্তি। তারপর আমরা দাঁত মাজি ; এই দাঁত মাজার ব্রাশ এবং পেস্টও বিজ্ঞানের আবিষ্কার। তারপর আমরা সকালের নাস্তা তৈরী করি বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে যা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ই ফল।তারপর আমরা নাস্তা করে তারপর বাইরে যাই বিভিন্ন কাজে। কেও স্কুলে কেও অফিসে ইত্যাদি। আমাদের যেই গন্তব্যস্থল নিকটে হলে আমরা পায়ে হেটেই চলে যায় আর দূরে হলে বিভিন্ন গাড়ীতে চড়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে যাই।এইযে গাড়ী ব্যবহার করছি সেই গাড়ীও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার।তারপর শিক্ষার্থীরা যে বই পড়ছে, কলম দিয়ে খাতায় লিখছে,চক দিয়ে শিক্ষক বোর্ডে লিখছেন এই চক,কলম,বই সব ই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। তাছাড়া মানুষ গরমের সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র,ঠান্ডার সময় হিটার ব্যবহার করছে সেই সবই বিজ্ঞানিদের আবিষ্কার।বিজ্ঞান আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গি।বিজ্ঞান ছাড়া একটা দিনও চলা সম্ভব না। বর্তমানের সমৃদ্ধ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার একদিনের ফলে হয় নি। বরং শত শত বছর ধরে হাজার হাজার বিজ্ঞানিদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে উন্নতি লাভ করেছে।বিজ্ঞানের চর্চা এবং গবেষণার ফলেই প্রাচীনকালের সেই গুহাবাসী মাংসাশী মানুষ আজকের আধুনিক সভ্য মানুষে রূপ লাভ করেছে।সব ই বিজ্ঞানের অবদান।প্রাচীনকাল থেকে ই মানুষ বিজ্ঞানের চর্চা করে আসছে যার ফলে মানুষ প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।মানব মন সর্বদাই কৌতুহলী। মানব মনের সেই কৌতুহল থেকে ই৷ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আগ্রহ এবং সেই আগ্রহের তাগিদে অনুসন্ধান আর অনুসন্ধান থেকে গবেষণার সৃষ্টি হয়েছে।ক্রমেই মানুষ ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের সাথে জড়িয়ে গেছে।বিজ্ঞানের আবিস্কারের ফলে মানুষ আজ পৃথিবীর গন্ডি পেরিয়ে চাঁদে এবং মঙ্গল গ্রহেও পদার্পণ করেছে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্রেও পদার্পণ করতে সক্ষম হবে।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা সম্পুর্ন ভাবে বিজ্ঞানের আবিস্কারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি।কন্তু প্রত্যেকটা বিষয়েরই যেমন ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিকও আছে।আবার কোনো জিনিস আশির্বাদ না অভিশাপ সেটা তার ব্যবহারের উপর নির্ভর করে।।তাই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে মানব সভ্যতার উন্নতি,সমৃদ্ধির কাজে লাগানো উচিত কোনো মতেই এর অপব্যবহার করা উচিত নয়।নয়তো বিজ্ঞান যেমন আমাদের জন্য আশির্বাদ তেমনি অভিশাপও হয়ে উঠতে পারে।
Related Posts
Hey there! Ever wondered what makes you, you? The answer lies in the tiny world of molecules inside your cells. Two…
NEC Corporation, formally known as Nippon Denki Kabushiki Gaisha, has been an integral part of Japan’s technological evolution for decades.…
কম্পিউটার! বর্তমান যুগে এই শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। টেবিলের ওপর টিভির মত দেখতে একটি যন্ত্র আর টেবিলের নিচে বাক্সের…
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন: ন্যানো টেকনোলজি কি, ন্যানো টেকনোলজি বলতে কি বুঝায়. ন্যানো টেকনোলজি কিভাবে আমাদের উপকারে আসে, উৎপত্তি এবং…
টিনএজে বলতে কাদের বোঝায় তা আর নতুন করে বলার দরকার নেই। মনস্তত্ত্ববিদরা তাদেরকে আলাদা প্রজাতি হিসেবেই বিবেচনা করে। তারা একই…
4 Comments
Leave a Reply Cancel reply
You must be logged in to post a comment.
Ok
nice
ধন্যবাদ
❤️