তারবিহীন মাধ্যম কী এবং দিকযুক্ত সর্বদিকযুক্ত অ্যান্টেনা কী জেনে নেন

তারবিহীন মাধ্যম

এই ধরনের হলো বায়ূমন্ডল, পানি এবং মহাশূন্যে বায়ূমন্ডলের উপর  আরো অন্যান্য স্তর। এই মাধ্যম ভৌত কোন মাধ্যম ছাড়াই তড়িতচুম্বপীয় সংকেত প্রেরন করে। এর তড়িৎ চম্বুকীয় শক্তিতে রুপান্তিত হয়ে অ্যান্টেনা থেকে বিকিরণ হয়। সংকেত খোলা জায়গা দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং এরকম সংকেত গ্রহন করতে সক্ষম যন্ত যার কাছেই থেকে সেই তথ্য গ্রহন করতে পারবে। এর ধরনের মাধ্যম কোন একজন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকে না এবং এই সব মাধ্যম ডেটাসমূহকে কোন একটি বিশেষ দিকে গাইড করে না। ফলে ডেটা সমূহ যেকোন দিকে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং যেকোন পক্ষ যেকোনভাবে প্রেরিত ডেটা গ্রহন করতে পারে। এই সব কারনে এর ধরনের মাধ্যমকে আনগাইডেড মিডিয়া বা গাইডবিহীন মাধ্যম বলা হয় ।

তারবিহীন মাধ্যমে অ্যান্টেনা ডেটা আদান ও প্রাদানের একটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। অ্যান্টেনা মূলত বিদ্যুতিক সিগনালকে যন্ত যা বিদ্যুৎ শক্তিকে শক্তিকে রুপান্তর করে অ্যান্টেনা এবং পরিবর্তীতে তা বিকিরণ করে তারবিহীন মাধ্যম ডেটা আদান প্রদানে প্রধান ভূমিকা রাখে । বিদ্যুৎ চৌম্বুকিয় তরঙ্গ বায়ূ পানি ও মহাশূহ্যে দিয়ে গন্তব্য পৌছাতে সক্ষম হয়। গন্তব্য পৌছানোর পর বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে সেটাকে বৈদ্যুতিক সিগনালে পরিনিত করাও অ্যান্টেনার কাজ ।

অ্যান্টেনা থেকে বিকিরণের দিকের ওপর ভিত্তি করে অ্যান্টেনাকে দুইভাগে ভাগ করা যায় ।যথা –

  • দিকযুক্ত অ্যান্টেনা
  • সর্বদিকযুক্ত অ্যান্টেনা

দিকযুক্ত অ্যান্টেনা- এই ধরনের অ্যান্টেনা একটি নিদির্ষ্ট দিকে মুখ করা থাকে এবং শুধুমাএ ওই নিদির্ষ্ট দিকেই বিকিরণ করা হয়। সুতারাং প্রেরক ও গ্রহীতাকে ডেটা আদান প্রদান করতে হলে তাকে পরস্পরের দিকে একটি সরলরেখা বরাবর মুখ করতে হয়।

সর্বদিকযুক্ত অ্যান্টেনা – এই ধরনের অ্যান্টেনা সর্বদিকে তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরন করতে থাকে । সুতারাং প্রেরক ও গ্রহীতাকে কোন নিদির্ষ্ট দিকে মুখ না করলে ও ডেটা আদান প্রদান বন্ধ করা সম্ভব হতে পার। ওয়্যারলেস সংকেত প্রেরক হতে গ্রাহক পর্যন্ত কয়েকটি উপায়ে যেতে পারে।

প্রথমত – ভূমি থেকে প্রেরণ করা হয় এবং সংকেত প্রেরক অ্যান্টেনা  থেকে বৃত্তাকার থেকে বৃত্তাকার ভূমির বক্রতা অনুসারে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সংকেত শক্তি যত বেশি তত দূরত্বে তা অক্রিক্রম করতে পারে ।

দ্বিতীয়ত- সংকেত আকাশের দিকে প্রেরন করা হয় এবং আয়নস্ফিয়ার থেকে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলন হয়ে তা ভূমিকা ফিরে আসবে। এইভাবে আল্প শক্তি ব্যাবহার করেও অনেক দূর পর্যন্ত বেতার সংকেত পাঠানো যায়।

তৃতীয়ত –বেতার তরঙ্গ দৃষ্টি রেখার মাধ্যে সোজাসুজি প্রেরন করা হয়। দুজন মানুষ যখন পরস্পরকে কোন বাধা ছাড়াই দেখে তখন তাদের দৃস্টির মধ্যে একটি রেখা কল্পনা করা হয়। তাকে আমরা বলি লাইন অব সাইট । কোন বাধা যেমন দেয়াল বা গাছ থাকলে এই রেখা কল্পনা করা যায় না। দুটি পরস্পরমুখী অ্যান্টেনার মাধ্যেও একরকম রেখা কল্পনা করা যায়।

Related Posts

9 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.