জলকন্যা নিয়ে অনেকের মনেই আছে অনেক কৌতূহল ,জানার আগ্রহ অনেক। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এমন এক কাল্পনিক জীবের কথা বলে আসছে যার শরীরের উপরের অর্ধেক অংশ মানুষের মত আর নিচের অর্ধেক অংশ মাছের মত দেখতে। প্রাচীকালের নাবিকদের মতে তারা সমুদ্রযাত্রা করার সময় তারা পানির নিচ থেকে সুমধুর কন্ঠের গান শুনতে পেত তারপর তাদের অনেকে সেই গানে এতটাই মুগ্ধ হয়ে যেতো যে তারা সমুদ্রে ঝাপ দিয়ে দিত। আবার অনেকে বলেন যে তারা সমুদ্রের মাঝখানে সুদর্শন নারীকে দেখতে পেতেন যে কি না তার সুমধুর কন্ঠে গান গেয়ে তাদের তার দিকে যাওয়ার জন্য ইশারা করত। আর নাবিকেরা তাদের গানে বিমোহিত হয়ে তার সাথে সমুদ্রে ঝাপ দিত। অনেকে বলেন যে যারা জলকন্যার গানে মোহিত হয়ে সমুদ্রে ঝাপিয়ে পড়েন তারা কেও ই নাকি জীবিত ফিরে আসেন নি কখনো। তাদের মৃতদেহ ভেসে উঠত সমুদ্রের উপর। আবার অনেকের মতে জলকন্যা বলতে বাস্তবে নাকি কিছু ই হয় না সব ই মানুষের নিছক বানানো গল্প । এখন কি সত্যি কি মিথ্যে সেটা তো সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।তবে জানা যায় অনেকে ই নাকি দেখেছেন জলকন্যাকে আবার অনেকের জানা অনুযায়ী জলকন্যারা নাকি সমুদ্রের উপর এসে গান গেয়ে মানুষকে তার বশে এনে তাকে সমুদ্রের তলদেশে নিয়ে গিয়ে তার রক্ত চুসে খায়। এই কথাটি সত্যি কি না সেটারও সঠিক কোনো প্রমাণ নেই। আবার কারো কারো মতে জলকন্যারা নাকি ১০০ বছর অবধি বেঁচে থাকে আবার অনেকে বলে জলকন্যাদের জীবনকাল নাকি খুব ই ছোট। প্রাচীনকাল থেকে ই মানুষএই কাল্পনিক প্রাণী জলকন্যার কথা বলে আসছে কিন্তু তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে এখনো মানুষ সঠিকভাবে কিছু জানে না। একজন গবেষকের মত অনুযায়ী, একবার সমুদ্রের পানি উজানে আছড়ে পড়ায় অনেক তিমি মাছ সমুদ্রের তীরে এসে পড়ে এবং পানিতে ফিরে না যেতে পারায় মারা যায়। তখন অনেক মানুষ সেখানে যায় সেই মৃত তিমি মাছ গুলো দেখতে। তখন সেই আগন্তুকদের মাঝে ছিলেন একটা পরিবার ।সেই পরিবারের ছোট ছেলে সমুদ্রের তীরে অদ্ভুত কিছু একটা দেখতে পায় তখন সে সেখানে যায় এবং একটা লাঠি দিয়ে সেটা কি তা দেখার চেষ্টা করতে থাকে আর তখনি নাকি সেটা উঠে তাকে আক্রমণ করে এবং তারা সেই প্রাণীটিকে হত্যা করে তার শরীরের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে আলাদা আলাদা জায়গায় পুতে দেয়। তারা বাড়ি ফিরে আসার কয়েকদিন পর একজন রিপোর্টার সেই বিষয়টি জানতে পারে এবং তাদের সাথে গিয়ে কথা বলে সেই অদ্ভুত প্রাণীটির ব্যাপারে। তারপর সেই প্রাণীটির শরীরের সব অংশগুলো সংগ্রহ করার পর তার দেহের আকৃতি বানানোর চেষ্টা করলে দেখা যায় সেটির দেহের উপরের অংশ দেখতে মানুষের মত আর নিচের অংশ দেখতে মাছের মত দেখাচ্ছিল। যার থেকে এটা কিছুটা ধারণা করে নেয় মানুষ যে জলকন্যা থাকতেও পারে সমুদ্রের গভীর তলদেশে। এই জলকন্যাকে মৎসকন্যা নামেও ডাকা হয় ।আর এদের জলকন্যা নামে ডাকার কারণ এদের এরা দেখতে কন্যাদের মত আর এদের বাস জলে। আর মৎসকন্যা নামকরণের কারণ এদের দেহের উপরের অংশ দেখতে কন্যার মত আর নিচের অর্ধেক দেখতে মাছ বা মৎসের মত।
Related Posts
এদেশের সাধারণ মানুষ যেন ইচ্ছা করেই নোংড়া থাকতে পছন্দ করে। সাধারণত যারা সরকারি বা প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরি করে তারা এক…
বাংলাদেশে যত দিন যাচ্ছে, নারী নির্যাতন ততই বাড়তে থাকছে। আপনি যদি নারী হয়ে থাকেন, সেই সাথে বাংলাদেশে বাস করেন তাহলে…
“আপন আলোয় জ্বেলে ওঠো” এই লাইনটাতেই লোকানো অনেক কথা। আমাদের সমাজের বহু শিক্ষিত মায়েরাই পিরিয়ড নিয়ে কথা বলতে একটু অস্বস্তি…
আমাদের প্রচলিত সমাজে মেয়ে হয়ে জন্মানো একটা অভিশাপও বটে। একটা মেয়ে সবসময় অসহায়, চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে।মন চাইলে নিজের ইচ্ছেমতো চলতে পারে…
সাম্প্রতিক বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ নিয়ে মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে তখন বাংলাদেশ পরিচিত হচ্ছে নতুন এক মহামারি, ধর্ষণের সাথে। যেদিকে দুচোখ …
6 Comments
Leave a Reply Cancel reply
You must be logged in to post a comment.

Nice
Ok
Amazing
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
আপনার একটা সাসক্রাইব আর একটা লাইক আমার জন্য অনুপ্রেরণা
Please support me🙂
Youtube Channel: https://www.youtube.com/channel/UCcrbrQxUzsavUjfXMgrsM6Q
Facebook page:
https://www.facebook.com/107324621876693/posts/113049517970870/?app=fbl
বেশ ভালো পোস্ট।
ok