খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা।

“আসসালামু আলাইকুম” আশা করি সবাই ভালো আছেন। খেলাধুলা নিয়ে কিছু আলোচনা করব। খেলাধুলা শুুধু মনকেই ভালো রাখে না,তার সাথে স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
পারিবারিক কাজ ও লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করা একান্তই জরুরি। খেলাধুলা করলে যেমন মন ভালো থাকে,তেমনিই স্বাস্থ্য ভালো রাখারও উপায়। আমরা ছোট বেলায় শিশু থেকে কৈশোর প্রযন্ত লেখাপড়া পাশাপাশি অনেকটা সময় খেলাধুলায় কাটিয়েছি।বাচ্চারা যখন খেলাধুলা করে তখন তাদের প্রত্যেকটা হাড়ের জয়েন্ট শারিরিক বেয়ামের কাজও করে থাকে। এতে তাদের দেহে বেড়ে উঠার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আর এখন তো খেলাধুলার প্রতিযোগীতাও চলছে প্রায় সারা বিশ্বে।যেখানে প্রতিযোগীতাদের মাঝে বিজয়ীদের পুরুষ্কার দেওয়া হয়। যেখানে সব ধরনের খেলাধুলা হয়।যেমন- ফুটবল,ক্রিকেট,হকি,টেনিস,হাডুডু,ভলুবল,গোল্লাছুট, লাটিখেলা,দৌড়ঝাঁপ, কানামাচছি, ব্যাটমিন্ট ইত্যাদি।বাচ্চারা যখন খেলাধুলা করে আমাদের উচিত তাদের আরোও উৎসাহিত করা। যাতে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পারে।

শুধু যে জয়লাভ করার জন্যই যে খেলবে ঠিক তা না, খেলা ও কাজের মধ্যে আনন্দ ও উল্লাস ও আছে। এবং যারা খেলাধুলা দেখে তাদেরও মনে শান্তি ও আনন্দ লাভ করে।খেলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।যেখানে ছোট বড় সবাই খেলতে ভালোবাসে।

আবার বাচ্চারা যাদের সাথে খেলবে, তাদেরও চরিত্র ভালো হতে হবে। কারণ বাজে ছেলেদের
সাথে মিলেমিশে খেললেও বাচ্চাদে সভাব চরিত্র খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই যারা ভালো আচরণ করে ভালো ব্যবহার করে বাচ্চাদের তাদের সাথে মিসতে দিতে হবে।

বাচ্চারদের খেলাধুলার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম নিতি আছে। সারাদিন বাচ্চারা খেলবে সেটাও শরিরের জন্য ক্ষতিকর। বাচ্চাদের উপযুক্ত খেলার সময় হলো বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা প্রযন্ত। আবার বাচ্চারা যেখানে খেলবে সেই জায়গাটা উপযুক্ত কিনা বিবেচনা করতে হবে। সেখানে কোন উচু নিচু জায়গা আছে কিনা দেখতে হবে। কোন ময়লা আবর্জনা আছে কিনা সেদিগে খেয়াল রাখতে হবে। সুতরাং এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে, যেখানে উচুও নয় নিচুও নয় সমতল জায়গা হতে হবে। আবার এমন জায়গাও নয় যেখানে রাস্তা এবং যেখানে গাড়ি,বাস, ট্রাক রিক্সা চলাচল করে।খেলাধুলার শেষে বাচ্চাদের গায়ের পোশাক চেন্জ করে,ভালো কাপড় পড়িয়ে দিতে হবে।যাতে কোন রোগজিবাণু না লেগে থাকে।

খেলা যেমন শরিরে জন্য ভালো, তেমন মাত্রাধিক খেলাও শরিরের জন্য ক্ষতিকর।তাই বাচ্চাদের সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চাদের খেলাধুলার পাশে কিছু নাস্তা খাওয়ালে তাদের ক্লান্তি দুর হয়ে যায়। যেমন- হরলিক্স,দুধ, জুস, শরবত ইত্যাদি। আমাদের উচিত বাচ্চাদের সঠিক খেয়াল রাখা। কারণ বাচ্চারাই আগামিকালের ভবিষ্যৎ। যেখানে বাচ্চারা বড় হয়ে দেশটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আর ঠিক এজন্যই আমাদের বাচ্চাদের সঠিক সিধান্ত ও সঠিক দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে।একজন সন্তানের
বাবা-মা হয়ে। আশা করি সবাই ভালো থাকবেন
শুভ কামনা রইলো।

Related Posts

9 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.