এজমা অথবা হাঁপানি রোগের সম্পর্কে হয়তোবা আমরা অনেকেই পরিচিত ।এজমা সাধারণত রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ার ফলে হয়ে থাকে। অর্থাৎ যদি বাইরের কোন পদার্থ ফুসফুসে প্রবেশ করে ,সেটিকে নিষ্ক্রিয় করতে দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থার যেটুকু প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা তার চেয়ে যদি অনেক তীব্রভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহলে সেটিকে বলে এজমা। শিশু বা ব্যক্তির বংশের হাঁপানি বা এলার্জির কারণে এজমা রোগ হয়ে থাকে ।যদিও বা অ্যাজমা কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় ।
এজমা রোগ হলে সাধারণত কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় ।এই সকল লক্ষণের মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া ,শ্বাসকষ্ট এর মাধ্যমে দম বন্ধ হয়ে আসা ,ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া, ফুসফুসের বায়ুথলিতে ঠিকমতো অক্সিজেন সরবরাহ না হওয়া ইত্যাদি হচ্ছে এজমা রোগের প্রধান কিছু লক্ষণ ।
সাধারণত কিছু ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে এলার্জি হয় ।যেমন: চিংড়ি ,ইলিশ মাছ ,গরুর মাংস ইত্যাদির কারনে এজমা রোগ হয়।
এছাড়াও বায়ুর সাথে ধোয়া অথবা ফুলের রেণু যদি কোনভাবে ফুসফুসে প্রবেশ করে থাকে ,তাহলে সেই ক্ষেত্রে একজন সুস্থ ব্যক্তি ও অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, বছরের বিশেষ একটি সময় রোগী অ্যাজমা রোগে ভোগে ।
যদি কারো বিশেষ ঋতুতে এজমা রোগ হবার সমস্যা থাকে ,তাহলে সে ক্ষেত্রে সেটি নিরাময় করা হয়তোবা খুবই কঠিন একটি ব্যাপার । সচরাচর এজমা রোগ নিরাময় হয় না ।
অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত রোগীর অত্যন্ত কষ্ট হয় ,যখন তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ।শ্বাস নেওয়ার সময় রোগীর পাঁজরের মাঝে চামড়া ভেতরের দিকে ঢুকে যায় ।রোগীর শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে আসতে থাকে ।অনেক সময় মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে ।
যদি কেউ এজমা রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তা চিকিৎসায় সম্পূর্ণ নিরাময় করা না গেলেও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে তার কিছুটা রোধ করা যেতে পারে। যেসব খাবার খেলে এলার্জি হয়, সেসব খাবার কে সম্পূর্ণরূপে বাদ দিতে হবে। যেসব জিনিস হাঁপানি বাড়ায় ,সেগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে যেমন :লোম, কৃত্রিম ফাইবার ইত্যাদি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। ধূমপান, সাদাপাতা, জর্দা ইত্যাদি ক্ষতিকর খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে এবং শ্বাসকষ্টের রোগী কে বেশি বেশি করে তরল খাবার খাওয়াতে হবে ।
আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করে অ্যাডমারক সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তুলুন ।
কারণ আপনার একটি পোস্ট শেয়ার হয়তবা অনেকের জীবন বাঁচাতে পারে। এজমা রোগ সম্পর্কে সকলকে সচেতন করে তুলুন এবং এর সঠিক কারণ সম্পর্কে সবাইকে অবগত করুন ।
ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

Thanks for post
darun post
nice
❤️
Thanks