ইএফআই এবং কার্বরেটর নিয়ে যত কথা!

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজকে আমরা কথা বলব ইলেকট্রিক ফুয়েল ইঞ্জেকশন কার্বুরেটর নিয়ে প্রথমেই আমরা জেনে নেব ইলেকট্রিক ফুয়েল ইঞ্জেকশন অর্থাৎ ই এফ আই কার্বুরেটর এর কাজ কি এই দুইটা ফুয়েল এর কাজ হলো বাইকের ইঞ্জিন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস এবং ফুয়েল পৌছে দেয়া তো চলুন শুরু করা যাক প্রথমে আমরা কথা বলবো কারবোরেটর নিয়ে আপনারা সবাইকে কার্বুরেটর দেখে থাকবেন এটা একটি মেকানিক্যাল পার্ট। এতে কোন ইলেক্ট্রিক পার্ট নেই।
প্রায় 100 বছর থেকে ফুয়েল সিস্টেম কাজ করে আসছে মানে ধরা যেতে পারে মোটামুটি সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে এই ফুয়েল টির তারপরেও কিন্তু এটি এখনো চলছে বন্ধ হয়ে যায়নি।
এবার আমরা কথা বলবো ইএফআই নিয়েঃ
ইএফআই তে আপনারা পাচ্ছেন লেটেস্ট টেকনোলজি যেটাতে অনেক গুলো ইলেক্ট্রিক সেন্সর থাকছে। এটা ডাইরেক্ট সংযোগ হয় বাইকের ইসিইউ এর সাথে।
ইসিইউ সংযুক্ত থাকে ইঞ্জিনের সাথে।
অর্থাৎ যত ধরনের কাজ করার নির্দেশ এই ইঞ্জিন পায় তা ইসিইউ তে পাঠায় এবন ইসিইউ থেকে যা কমান্ড আসে সে অনুযায়ী ইএফআই ফুয়েল এবং বাতাস পাঠায় বাইকের কম্পাকশন চেম্বারে।
এখন বেশিরভাগ ইঞ্জিনে যেটা ইউজ হচ্ছে বলে আমরা দেখছি তা হলো পোর্ট ফুয়েল ইঞ্জেকশন এবং ডাইরেক্ট ফুয়েল ইঞ্জেকশন যা কিনা খুবই পপুলার হয়ে উঠেছে।
ডাইরেক্ট ফুয়েল কাজ করে গাড়ির ডিজেল এর ওপর।এটার দ্বারা ডাইরেক্ট ডিজেল স্প্রে হয় আপনার বাইকের ইঞ্জিনে।
আর পোর্ট ফুয়েল ইঞ্জেকশন একদম আলাদা এটা সরাসরি কাজ করে সেন্সরে এবং এর কাজ বেশি ভালো।
অনেক কথা বললাম বন্ধুরা ইএফআই এবং কার্বোরেটর নিয়ে এবার এই দুইটার সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে কথা বলবঃএই দুইটাই মধ্যে বেশি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে আমাদের নতুন ফুয়েল সিস্টেমে।মানে ইএফআই_ তে
কারন যেকোনো ওয়েদারে বাইকের ইঞ্জিন caburetor থেকে efi টেকনোলজি বেশি সার্ভিস দিচ্ছে। ভাইব্রেশন অ কম হয় কার্বোরেটর এর থেকে।এবং মাইলেজ ও বেশি পেয়ে যাচ্ছেন ইএফআই তে কার্বোরেটর এর থেকে।
আবার অনেক সময় কার্বোরেটর ফুয়েল সিস্টেমে ধোঁয়া বেশি বেরোয় যা অন্যটিতে হয়না।
এবং ইএফআইতে ফুয়েল কখনো অভার হয়না।
যেমনটা আপনারা দেখে থাকেন কার্বরেটর ফুয়েলের লেভেল অথবা বাতাসের লেভেল বেশি হয়ে যায় তাহলে অনেক সময় বাইক দাড় করালে ফুয়েল লিক হয়ে ফুয়েল বাইরে বেরিয়ে আসে।
অর্থাৎ ওভার ফ্লো হয়।

সেরকম কার্বরেটর এর থেকে ইএফআই এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে যেমন কার্বরেটর থেকে এটার দাম বেশি পড়বে।যেখানে কার্বরেটর এর দাম মাত্র ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা কম পড়বে ইএফআই এর থেকে।
ইএফআই এর মধ্যে অনেক ইলেক্ট্রিকাল পার্ট থাকে যা কার্বরেটরে থাকেনা।
তাই কার্বরেটর কখনো নষ্ট হলে তা সহজেই ঠিক করা যাবে যেকোনো বাইক মেকানিকের কাছে।
কিন্তু ইএফআই এর ক্ষেত্রে তা হয়না এটি ঠিক করতে হলে অবশ্যই আপনাকে এক্সপার্ট এর কাছে যেতে হবে।

তো বন্ধুরা এই ছিল ইএফআই ও কার্বরেটর ফুয়েল এর বর্ননা এগুলোর সুবিধা এবং অসুবিধা সমূহ।
ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন।
ধন্যবাদ বন্ধুরা😊

Related Posts

4 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.