আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন আপনি ভবিষতে কোন পেশায় নিয়োজিত থাকবেন।

আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা,আশা করি আপ্নারা অনেক ভালো এবং সুস্থ্য আছেন।
আমরা মানুষ, আমরা সৃষ্টির  সেরা জীব। আমরা সমাজবদ্ধ হয়ে থাকতে ভালোবাসি। আর এজন্য পেশা বা কাজের দরকার হয়। আজ আমি আপনাদের কিছু পেশার সাথে পরিচয়  করিয়ে দিবো। এরপর আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি কোন পেশায় নিয়োজিত  থাকবেন।
কৃষি কাজ:পৃথিবীর আদিতম  পেশা কৃষি কাজ। বাংলাদেশের ভুমি খুবই উর্বর।,যা কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নতির  সরনশিকরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।  বৈজ্ঞানিক  পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য আধুনিক  কৃষকের প্রয়োজন।
পশু-পাখি পালন: বাংলাদেশে জমিতে পতিত রাখলে প্রচুর ঘাস জন্মায়। ফলে সহজেই এসব জমিতে পশু-পাখির খাদ্য উতপাদন কর যায়। এভাবে আপ্নিও পশু পাখি পালন করে নিজের পেশাকে আরেও উন্নত  করতে পারেন।
ক্যাডার সার্ভিস:বাংলাদেশে ক্যাডার  সার্ভিস চাকরির জন্য স্নাতক বা স্নাকত্তোর পাস এবং অনুরদ্ধো ৩০ বছর বয়স হতে হবে। বাংলাদেশ  পাব্লিক সার্ভিস  কমিশন পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করে চাক্রির সুপারিশ করে এবিং মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ  প্রদান করে।
শিক্ষাকতা: পেশা হিসাবে শিক্ষাকতা যেমনি সম্মানের তেমনি রয়েছে নিশ্চিত জিবনের হাতছানি। প্রাথমিক  প্রধান শিক্ষক  হতে চাইলে উচ্চ শিক্ষা এবং স্নাকত্তোর পাশাপাশি  বিএড ডিগ্রি পেতে হয়।
আইনসংক্রান্ত পেশা: সম্মান  এবং সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এর জন্য মরজাদাপূন এ পেশায়  অনেক মানূষের আগ্রহ  থাকে। এক্ষেত্রে  তারা আইন বিষয়  পড়াশোনা  করলে বড় কোন উকিল বা ব্যারিস্টার  হওয়া সম্ভব।
ব্যাংক ও বিমা: বাংলাদেশ সরকারি  ও বেসরকারি  ব্যাংক ও বিমায় শিক্ষিত নাগরিকদের চাকরির সুযোগ রয়েছে। যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মকতা এবং কর্মচারী হিসেবে চাকরির সুযোগ  রয়েছে। এক্ষেত্রে  তার ব্যাবসায় শিক্ষার উপর স্নাতক  হতে হবে।
পোশাক শিল্প: আশির দশক থেকে বাংলাদেশে পোশাক  শিল্পের উন্নয়ন এর সাথে অভ্যন্তরীণ  বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। পোশাক শিল্প বাংলাদেশে বৈদাশিক মুদ্রা আনতে অনেক সহয়তা করছে।
নৌযান এবং নৌপরিবহন : স্থানিয় ও আন্তজাতিক বাজার উভয় ক্ষেত্রে  এখাতে  দিন দিন বাড়ছে। এখাতে  রয়েছে ব্যাটেলিয়ন  অরতাথ আর্মি, পুলিশ,বিজিবি,র‍্যাব,নৌবাহীনি,পাইলট  এসব এখাতে সবাই নিয়োজিত থাকবেন।
অটোমোবাইল  শিল্প: অটোমোবাইল  শিল এর প্রধান কাজ হচ্ছে গাড়ি তৈরি, বিক্রি এবং পরবর্তীতে সার্ভিসিং  করা। এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক পড়াশোনা  করতে হবে।
আউটসোর্সিং : আউটসোর্সিং বা ফ্রিলান্সিং শব্দের অর্থ  হলো মুক্ত পেশা । বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে  বিভিন্ন  প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে কাজ করিয়ে নেওয়াকে  আউটসোর্সিং বলে।  আর যারা আউটসোর্সিং করে তাদেরকে ফ্রিলান্সার বলে। কয়েকটি  আউটসোর্সিং সাইট  এর ভাগ গুলো হলো- ওয়েব ডেভেলপার, সফটওয়্যার ডেভেলপার, গেম ডেভেলপার,  প্রডাক্ট  বাই এন্ড সেল, এফিলিয়েটিং মার্কেটিং,  নেটওয়ার্কিং,  ইত্যাদি।
আপনারা এবার সিদ্ধান্ত নিন আপ্নারা আপনাদের যোগ্যতা অনুযায়ী  কাজ করবেন না কি ফ্রিলান্সিং  করবেন। আপনি যে পেশটির উপর বেশি দক্ষতা রাখেন আপনার জন্য সঠিক হবে সেই পেশা। খুজে আপনি আপনার ভবিষ্যৎ।
আমাদের এই পোষ্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে বিশেষ করে এই পোষ্টি শেয়ার করবেন যাতে আপনার বন্ধুও এই পোষ্টটি  পড়ে অনুপ্রাণিত  হয়।
আপনার বন্ধুও  খুজে নিতে পারে তার দক্ষতা অনুযায়ী  যেকোন একটি ভালো  পেশা।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে ………..ভালো থাকবেন সবাই।

Related Posts

4 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.