আপদ বিপদের গল্প। সোনালী সকাল। মজাদার গল্প।

আসসালামুয়ালাইকুম।

আপদ-বিপদ’ নামক দৈত্যের গল্প।

সে বাস করে সাগরের পানির নিচে। এক অজানা রাজ্যে। নাম অচিনপুরী। দৈত্যের ইয়া বড় বড় নখ। দাঁতগুলো ও বিকট। ক্ষুধা পেলে খুব সে চিৎকার করে। ছড়া বলে-

হায় হায় হায় ক্ষুদায় জান যায়

খাবার কোথায় পাই?

মানুষ পেলে আসতো ধরে খায়।

ছড়া বলতে বলতে পৃথিবীতে উঠে আসে সেই দৈত্য। বাতাসে মিশে যায়। মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। কেউ তাকে দেখতে পায়না। সে মানুষের বিভিন্ন ক্ষতি করে নিজের ক্ষুধা মেটায়। ওই দৈত্য মানুষকে পানিতে ডোবায়, আগুনে পোড়ায়। পথে চলতে অসুবিধা সৃষ্টি করে। ফেলে দিয়ে ব্যথা দেয়। আরো কত কি! মানুষ আপদ-বিপদ’ নামক দৈত্যের আঘাত মোকাবেলা করতে পারে নানান কৌশলে। এবার শুরু হলো সেই দৈত্যের গল্প।

 ‘‘সোনালী সকাল,,

মালা ও বাবু ভাই বোন। একদিন সকালবেলা। পুকুর পাড়ে দুই ভাইবোন খেলা করছে। এক সময় পাশের বাড়ির রাজু এসে ওদের খেলার সংযোগ দিল। হঠাৎ বাবুর বলটা পুকুরে পড়ে গেল। বাবু চিৎকার করে বলল রাজু বলটা ধরো। রাজু বলটা ধরো। বাবু কান্না জুড়ে দিল। কাঁদতে কাঁদতে বলল, মালা আপু আমার বল, আমার বল এনে দাও। তুমি না এনে দিলে আমি পুকুরে নেমে বল তুলে আনবো। মালা বললো না বাবু পুকুরে নেমোনা। পুকুরে অনেক পানি তুমি সাঁতার জানো না। কিন্তু বাবু কথা শুনলো না। যে বলের জন্য পুকুরে নামতে গিয়ে পানিতে ডুবে যেতে লাগলো। মালা চিৎকার করে উঠল। মা, করিম চাচা দৌড়ে পুকুরপাড়ে এলেন। করিম চাচা বাবুকে পানি থেকে টেনে তুললেন। তিনি কড়া গলায় বলেন, পুকুরপাড়ে খেলা ঠিক নয়। যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে। তারপর রনি বাবুকে পুরো বিষয়টা বুঝাতে লাগলো। সে বলল পানি থেকে অনেক সময় নানা রকম বিপদ হয়। যেমন:

গামলা বড় বালতির পানিতে পড়ে গেলে।                   পুকুর বা ডোবার পানিতে পড়ে গেলে।         সাঁতার না-জেনে পানিতে নামলে। বড়দের ছাড়া একা একা বা দল বেঁধে পুকুর বা কোন জলাশয় গোসল করতে গেলে।                   ‌।                        প্রবল ঝড় বৃষ্টির মধ্যে নৌকা বা লঞ্চে যাতায়াত করলে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই লঞ্চে যাতায়াত করলে ‌ ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় না নিলে। এছাড়া আরও বিভিন্ন ভাবে পানি থেকে ক্ষতি/বিপদ হয়ে থাকে।                  পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচার জন্য আমরা যা যা করতে পারি।              ১। চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে ডাকবো।              ২। সাঁতার জানা থাকলে সাঁতার কেটে পরে আসবো। ৩। ভেসে থাকা যায় এমন কিছু হাতের কাছে পেলে তা  ধরে ভেসে থাকার চেষ্টা করব।৪। সাহায্যের জন্য কেউ লাঠি এগিয়ে দিলে বা দড়ি ছুড়ে দিলে তা ভালোভাবে ধরে রাখবো। কালচিনি সাহায্য করছেন তিনি আমাকে টেনে তুলতে পারেন।   

বাবু জিজ্ঞেস করল, অন্য কেউ পানিতে পড়ে গেলে তখন কি করব?                  রনি উত্তর দিল _১।চিৎকার করে বড় কাউকে ডাকবো।         ২। প্রথমে লম্বা দড়ি,গাছের ডাল দুই হাত দিয়ে এক মাতা শক্ত করে ধরব । পানিতে যে পড়ে গেছে তার দিকে অন্য মারতে এগিয়ে দিব।৩। তাকে বলব, দড়ি, লাঠি বা গাছের ডাল দিয়ে শক্ত করে ধরতে। তারপর আস্তে ধীরে তাকে টেনে টেনে পাড়ের দিকে আনবো। এছাড়া পানিতে ভাসে এমন কিছু পেলে প্রথমে তার দিকে তার ছুঁড়ে মারবো। তাহলে সেটা ধরে ভেসে থাকতে পারবে।

আমাদের আজকের গল্পটি এ পর্যন্তই। এরকম মজাদার গল্প আরো দিব ইনশাল্লাহ। শিক্ষনীয় গল্প।

 

 

Related Posts

9 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.