আগামী মাসেই আসতে পারে কাঙ্ক্ষিত ভ্যাকসিন!

আগামী মাসেই আসতে পারে কাঙ্ক্ষিত ভ্যাকসিন:

পুরো বিশ্ব করণা ভাইরাসের থাবায় জর্জরিত। আর্থিক মন্দার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রায় সব দেশেই। যদি অতি দ্রুত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না আসে তবে বিশ্বের প্রায় 50 কোটি লোক দরিদ্র ও বেকার হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর এই সকল সমস্যার মাঝে আশার বাণী শুনিয়েছেন অক্সফোর্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ের করণা ভাইরাসের ভ্যাকসিনটী।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই ব্যক্তিটি 100% কার্যকর। যদি 100% কাজ না করলেও 80% কাজ করবে বলে জানিয়ে ছিল ভ্যাকসিনটি নির্মাতারা এমনকি তারা কোন প্রাণীর উপর পরীক্ষা না করে প্রথমেই মানুষের ওপর তার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে করে ছিল। আর তারা জানিয়েছে যে খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে খুশির সংবাদ। আর সেটা হয়তো আগামী মাসে অর্থাৎ জুন মাস এর মধ্যে আসতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিসিন বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষকে দেওয়া হয়েছে এই ভ্যাকসিনটি ।যদি যদি এই ভ্যাকসিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায় তবে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে যে ব্যাপকহারে তৈরি করা কারণ এ পর্যন্ত প্রায় 50 লক্ষ মানুষ গণনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আর প্রতিদিন প্রায় 10 হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়ে চলছে , এছাড়াও এ পর্যন্ত প্রায় 212 টিরও বেশি দেশে কোন ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছে। দুই-একটি দেশ ছাড়া প্রায় সব দেশেই করো না ভাইরাসের প্রভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে সেখান কার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
আরে করোনা ভেকসিন এর ওপর প্রায় সব দেশেরই অধিকার রয়েছে। তাই এই চাহিদা মেটানোর জন্য দরকার ব্যাপকহারে উৎপাদন কিন্তু উৎপাদন এক নিমিষেই সম্ভব নয়। এই ব্যাপক হারে উৎপাদন তাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
উল্লেখ্য যে এই ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য প্রায় আট শত জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে এ 800 জনের মধ্যে অর্ধেক মানুষ প্রায় চারশত জনকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে আর বাকি 400 জনকে দেওয়া হয়নি। যাদেরকে করোনা ভাইরাস এর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি তাদেরকে অন্য একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে যেটি রক্ত জমাট হতে দিবে না বরঞ্চ রক্তকে তরল রাখতে সাহায্য করবে। কারণ করণা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে রক্ত জমাট বেধে যাওয়া।
তবে চিকিৎসক ব্যতীত কোনো রোগী জানবে না যে তাদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাদেরকে দেওয়া হয়নি এই ব্যাপারে আর তাদেরকে 24 ঘন্টা অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
এই ভ্যাকসিন টি তৈরি করা হয়েছে শিম্পাঞ্জিৱ শরীরেৱ একটি সাধারণ জ্বরের ভাইরাস থেকে। তাই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এ ভাইরাসটি ন্যূনতম 80% হলেও কার্যকর হবে। আর বর্তমানে তারা এই ভ্যাকসিন থেকে আরেকটু মডিফাই করে এমনভাবে তৈরি করছে যাতে সুস্থ হয়ে যাওয়া রোগীর যেন দ্বিতীয়বার আর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হয়।

Related Posts

43 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.