অষ্টম শ্রেণির ইসলাম ধর্ম অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ও উত্তর

আসসালামু আলাইকুম,

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করি। সবাই ভালো আছে সুস্থ আছেন।

মহান আল্লাহতালা রহমতে আমিও ভাল আছি।

আমি আজকে আমি আপনাদেরকে অষ্টম শ্রেণির প্রথম সপ্তাহের ইসলাম ধর্ম অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন ও উত্তর দুটি আবার পোস্টে থাকবে।

আপনারা এখান থেকে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

পোস্টটি সম্পুর্ণ অনুরোধ থাকলো প্রথমে আমি আপনাকে একটি প্রশ্ন দিব তারপরে কিভাবে লিখবেন তা কিছু নির্দেশনা যা সরকার কর্তৃক দেওয়া হয়েছে তা দিব তারপরে উত্তর দিব।

মনে করো তোমার ঘনিষ্ট একজন সহপাঠীরা আচরণ মুনাফিকের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয।

প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে সহায়তা করার জন্য তুমি কি কি উদ্যোগ নিতে পারো এই সম্পর্কিত একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করো-

সংকেত-

১/ মুনাফিকের লক্ষণ তার উল্লেখ

২/উক্ত আচরণ করল কেন ও ক্ষতিগ্রস্ত কাজ ব্যাখ্যা
৩/উক্ত বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের উদ্ধৃতি।

৪/সহপাঠীকে মুমীন হওয়ার জন্য তোমার পদক্ষেপ।

নির্দেশনা-
পাঠপুষ্টক থেকে উক্ত বিষয়ে ধারণা দেওয়া যেতে পারে।

প্রয়োজনী অভিভাবকের সাহায্যে দেওয়া যেতে পারে।

মোবাইল বা অন্য যেকোন ভার্চুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয় শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

ইন্টারনেটের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে এসাইনমেন্ট সহস্তে লিখতে হবে।

আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠির আচরণে কপটতা, মিথ্যা কথা বলা দ্বিমুখী নীতি প্রভৃতি লক্ষণ প্রতিফলিত হয়েছে যাদের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে তারাই হচ্ছে মুনাফিক নৈতিক ও মানবিক আদর্শের বিপরীত কাজ করাই।

এদের ধর্ম মুনাফিকরা মুখে ভাল কথা বললেও তাদের অন্তরে থাকে কুফরী পূর্ণ।

এমন মানসিকতা বহি প্রকাশ করেছে আমার এক সহপাঠীরা আচরনে আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, আমানতের খিয়ানত করে এগুলো মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য কারণ।

মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি-
মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা এবং আমানতের খিয়ানত করা।
এই লক্ষণগুলো যখন কারো মধ্যে দেখা যায় তখন তাকে মুনাফিক বলা হয়। সুতরাং আমার সহপাঠী আচরণে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।

2 নং প্রশ্ন উত্তর –

মুনিফিক একটি মারাত্মক পাপ।

একটি নৈতিকতা ও মানবিকতার বিপরীত কাজ মুনিফাকের ফলে মানুষ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ লিপ্ত হয়ে পড়ে ফলে মানুষের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ বিনষ্ট হয় এই কারণে সমাজে নানা ধরনের অশ্লীল ও অনৈতিক কাজের প্রসার ঘটে।

এইজন্যেই দুনিয়াতে মুনাফিক রা ঘৃণিত মনে হয় এবং আখেরাতেও তাদের জন্য কঠোর আযাব প্রস্তুত রয়েছে। আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলেন আমি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে।

এগুলো মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য আমার সহপাঠীর যেন এই বিষয়টি ফুটে উঠেছে।

উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় যে আমার সহপাঠী মুনাফিকের পরিনাম অত্যন্ত ভয়াবহ।

3 নং প্রশ্নের উত্তর-

মুনাফিকদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন –

যখন তারা মুনাফিক এবং ইমানদারদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে আমরা ঈমান এনেছি।

আর যখন তারা গোপনে তাদের শয়তানের সাথে মিলিত হয় তখন বলে আমরা শুধু তাদের সাথে ঠাট্টা-তামাশা করে থাকি( সূরা আল বাকারা আয়াত 14)

মুনাফিক দের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন- জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্থান (সূরা নিসা আয়াত 14)

 

4 নং উত্তর –

মুনাফিকরা আচরণ দূর করার উপায় –

১/কথা বলার সময় সত্য কথা বলবো।

২/মিথ্যা কথা বলবে না।

৩/কাউকে কথা দিলে তা রক্ষা করবে আমানত রক্ষা করা।
যেমন কারো কাছে কোন জিনিস ও সম্পদ আমানত রাখলে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবে এবং ফেরত দিবে কারো সাথে কথা দিলে তা রক্ষা করবে।

এছাড়াও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট করবেনা।

5 নং প্রশ্নের উত্তর-

আমার সহপাঠী কে মুমিন করার জন্য আমার পরিকল্পনা –

১/সহপাঠীকে সত্য কথা বলার জন্য উৎসাহিত করব এবং সত্য কথা বলার সুফল বোঝানোর চেষ্টা করব।

২/তাকে মিথ্যা বলতে নিরুৎসাহিত করবে ও মিথ্যা বলার পরিণতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবা।

৩/কারো সাথে ত সাথে ওয়াদা করলে তা রাখার গুরুত্ব ভূমিকা ও না রাখার রাখার পরিণাম সম্পর্কে ধারণা দিব।

৪/আমানত এর গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করবো এবং আমানতের খেয়ানত করার কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।

সবাইকে ধন্যবাদ।

 

grathor.com এর সাথেই থাকুন।

Related Posts

2 Comments

  1. ব্রডব্যান্ড রাউটারে পিং এবং স্পিড সমস্যার সমাধান। https://grathor.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a1%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%82/

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.