অভিমান! তিলে তিলে বিচ্ছিন্ন হওয়ার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ

অভিমান ও এর প্রখরতা নিয়ে সাজানো আজকের আর্টিকেলটি। চলুন, শুরু করা যাক….

অভিমান শুরু হয় ছোটো খাটো সামান্য বিষয় নিয়ে। কিন্তু এর প্রখরতা অনেক বেশি। হাজারো সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ও পাহাড়সম বাঁধা হয়ে দাড়ায় দুটি মনের মাঝখানে। অভিমানেরা তার স্বীয় গুণে জমা মনের গভীরে বাসা বাঁধে। জমা হতে হতে একসময় শুধুই অজানা এক দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়। কমেনা বরং ধীরে ধীরে তখন এটি শুধু এটি বাড়তেই থাকে। তখন কেউ আরও বেশি কষ্ট দেবার চেষ্টা করলেও কষ্ট আর মনে লাগে না। বরং মনের গভীর থেকে একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস বেরোয়। সবকিছুই তখন পরের চেয়ে পর মনে হয়। ঠিক সেসময় কেউ যদি কষ্ট না দিয়ে তাকে আরও ভালো রাখার চেস্টা করে ও অভিমান মুক্ত রাখতে চেষ্টা করে এবং ভালো করারও চেষ্টা করে, তখন তাকে খুব বেশি বেমানান লাগে। মনে হয় সে যেন এরকমই বেশ ভালো আছে। মনে মনে প্রশ্ন জাগে তাকে ভালো করার, ভালো রাখার চেষ্টা করছে কেনো? এর মতলবটা কি? নিশ্চয় তারা তার পিছু লেগেছে। তাদেরকে কোনোভাবেই সহ্য হয়না।

এভাবেই হাজারো সুস্থ সম্পর্ক দিনে দিনে অসুস্থ থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায়। তখন একসময়ের কাছের মানুষ ও আত্মার আত্মীয় মানুষগুলোও কাছে আসতে চেষ্টা করলে তাদেরকেও বড্ড বেশি বিরক্ত লাগে। তাই ইচ্ছে করেই হোক আর অনিচ্ছা করেই তাদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে যেন নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো মনে হয়। আর তখনই নতুন কোন অজানা একজনের সাথে নতুনভাবে বন্ধুত্ব তৈরী হয়। সেই নতুন জনটির নাম হলো একাকীত্ব।

এই একাকীত্বে থাকা মানুষটি যতোটাই হতাশ হোক না কেনো দিনশেষে সে তার নিজেকে নিয়ে নতুনভাবে বাঁচতে শেখে। সাথে সাথে এটাও উপলব্ধি করে যে এই মহা বিশ্বে একমাত্র ধ্রুব সত্যটা হলো, পৃথিবীতে কেউই কারো নয়। তাই প্রতিকুল পরিবেশে একা একাই বেঁচে থাকতে শিখতে হয়।
সবাই ভালো থাকবেন, সুখে থাকবেন এই কামনায়… আল্লাহ হাফেজ

Related Posts

9 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.