Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হচ্ছে আপনার

প্রযু্ক্তির এই যুগে মোবাইল ছাড়া এক মুহূর্তও যেন ভাবাই যায় না! এই যন্ত্রটি বলা যায় সব সময়ই আমাদের সঙ্গী। যে কোনো কাজে হোক অথবা বিনোদন, আমরা সব সময়ই মোবাইল ব্যবহার করে চলেছি। অনেকের বলেন, চায়ের চেয়েও মারাত্মক নেশা এই মোবাইল। আর করোনাভাইরাস আসার পর থেকে মোবাইলই যেন এখন সময় কাটানোর প্রদান মাধ্যম। আপনি কি জানেন, মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে আপনার ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে?

Marketing

একাধারে মোবাইল ব্যবহারের ফলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। এর ফলে আপনার হাতের আঙুল আড়ষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া চোখ ব্যথা, ঘাড়ে টান ধরা ও হাত তুলতেও কষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এ ব্যাপারে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভুল ভঙ্গিমায় একাধারে মোবাইল ব্যবহার করার কারণে পেশিতে টান পড়ে। আবার রক্তচলাচলের গতিও হ্রাস পায়। যার ফলস্বরূপ শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথার সূত্রপাত হয়ে থাকে।

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে

একধারে অনেকক্ষণ মোবাইলে কথা বললে কাঁধে ও ঘাড়ে ব্যথার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে মাইগ্রেন এবং মাথা ব্যথার শঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

অনেক সময় ধরে মোবাইলে মেসেজ বা সোশ্যাল সাইট ব্যবহার করলে হাতের কবজি ও আঙুলে ব্যথা হতে পারে।

এক সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, যারা একনাগাড়ে ২ ঘন্টার বেশি সময় পর্যন্ত মোবাইলে টেক্সট করেন, তাদের ‘সেল ফোন এলবো’ এবং ‘টেক্সট ক্ল’ নামে আঙুল ও কব্জির সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাটিকে ‘কিউবিটাল টানেল সিনড্রোম’ বলা হয়।

একনাগাড়ে টেক্সট মেসেজ লেখার ফলে হাতের বুড়ো আঙুল, তর্জনি ও মধ্যমা আঙুল প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার হয় বলে এই আঙুল দুইটির কাছাকাছি অবস্থিত স্নায়ুর উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। যার ফলে শুরুর দিকে আঙুল অসাড় মনে হয় ও পরে ব্যথা হয়।

অনেকে আবার কনুইয়ে ভর দিয়ে মোবাইল ব্যবহার করে বা কথা বলে। অতিরিক্ত সময় ধরে এই কাজটি করলে হাত, ঘাড় ও কাঁধে ব্যথার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

রাতে অন্ধকারে মোবাইলের ব্লু-লাইট বা নীল আলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে ইনসমনিয়া অর্থাৎ অনিদ্রার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। একই সাথে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ (সিভিএস) অর্থাৎ চোখের জল শুকিয়ে গিয়ে চোখের সংক্রমণ হয়।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে হাড়ের আলনা নার্ভ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার জন্য সার্জারি করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। শুধু স্নায়ুরোগই নয়, সব সময় মোবাইল ব্যবহারের অভ্যাস থেকে বেরিয়ে না আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

সমস্যাগুলো প্রতিরোধের জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে

যদি সম্ভব হয় তাহলে ফোন স্পিকারে দিয়ে কথা বলুন। মোবাইল ব্যবহারের সময় হাতের সব আঙুল পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করুন। একটানা মোবাইল ব্যবহারের ফাঁকে ফাঁকে হাত ও আঙুল স্ট্রেচিং করে নেওয়ার মতো অভ্যাস গড়ে তুলুন। শিশুদের হাতে বেশি সময়ের জন্য মোবাইল দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

Related Posts

9 Comments

Leave a Reply