৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান (পার্ট-৩, ৫ম সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান

আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ সপ্তাহের পরিকল্পিত এ্যাসাইনমেন্ট প্রোগ্রামে  আজকে নিয়ে এলাম এই সপ্তাহে চলমান ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান (পার্ট-৩, ৫ম সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান। তাহলে শুরু করা যাক।

(ক)উত্তর: বেশি তাপমাত্রার অঞ্চল থেকে কম তাপমাত্রার অঞ্চলের দিকে তাপের গমনকে তাপ সঞ্চালন বলে।

 

         (খ)উত্তর:  একক ক্ষেত্রফলের উপর বায়ু যে বল প্রয়োগ করে তাই বায়ুচাপ। বায়ু সবদিকে চাপ দেয়। কোন স্থানের বায়ুর চাপ নির্ভর করে সেখানকার তাপমাত্রা উপর। 

         পাত্রে বায়বীয় পদার্থের চাপ বেড়ে যায়। কিন্তু বায়ুমন্ডলে তাপমাত্রা বাড়লে বায়ুর চাপ কমে যায়। এর কারণ বায়ুমণ্ডল বদ্ধ পাত্রে নয়, এটি খোলা । তাপ পেলে বায়ু হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়। তাই কোন স্থানের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বায়ুচাপ কমে যায় অর্থাৎ নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়।

 

       (গ)উত্তর: দেওয়া আছে,

           তাপমাত্রা  ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস

আমরা জানি,

                    C/5 = (F- 32)/9

                বা, 50/5 = (F – 32)/9

                বা, 5 ×( F – 32) = 50 × 9

                বা, F – 32 = (50 × 9)/5

                বা, F – 32 = 90

                বা,F =90 + 32

                বা, F =122

সুতরাং, দন্ডের তাপমাত্রা ফারেনহাইট স্কেলে ১২২ ডিগ্রী ফারেনহাইট

 

       (ঘ)উত্তর: উদ্দীপকের লৌহদন্ডের মধ্য দিয়ে পরিবহন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়। নিম্নে বিশ্লেষণ করা হলো:

       যে পদ্ধতিতে পদার্থের অণুগুলো তাদের নিজস্ব স্থান পরিবর্তন না করে শুধু স্পন্দনের মাধ্যমে তার পার্শ্ববর্তী অণুকে তাপ প্রদান করে পদার্থের উষ্ণতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে তাপ সঞ্চালিত করে সেই পদ্ধতিকে পরিবহন বলে। এ পদ্ধতিতে কঠিন পদার্থে তাপ সঞ্চালিত হয়।কঠিন পদার্থের কণাগুলো নিজেরা স্থান পরিবর্তন করতে পারে না। তারা কেবল নিজেদের স্থান থেকেই স্পন্দন তৈরি করে। কঠিন পদার্থের গরম কণাগুলো স্পন্দন এর মাধ্যমে পাশের ঠান্ডা কণাতে তাপ সঞ্চালন করে থাকে। পাশের ঠান্ডা কণা ঠিক গরম হয়ে তার পাশে ঠান্ডা কণাকে তাপ  দেয়। এভাবে কণাগুলো নিজের স্থান পরিবর্তন না করে তাকে গরম প্রান্ত থেকে ঠান্ডা প্রান্তে নিয়ে যায়।

     উদ্দীপকে একটি লৌহ দন্ডের এক প্রান্তে মোমবাতির সাহায্যে উত্তপ্ত করলে অপরপ্রান্তটি গরম হয়ে যায়। লোহা একটি কঠিন পদার্থ। তাই দন্ডের যে প্রান্ত আগুনের মধ্যে আছে সেই অংশের অণুগুলো আগুন থেকে তাপ গ্রহণ করে নিজেদের অবস্থান থেকে স্পন্দিত হতে থাকে। তাই স্পন্দনের মাধ্যমে উত্তপ্ত করা গুলো পার্শ্ববর্তী শীতল অনুকে তাপ প্রদান করে। সেগুলো উত্তপ্ত হয়ে আবার তাদের পার্শ্ববর্তী অণুতে তাপ সঞ্চালিত করে।এভাবে পরিবহন পদ্ধতিতে লৌহদন্ডে তাপ সঞ্চালিত হয়। 

 

                  সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর:

সাধারণত কাজ তাপের কুপরিবাহক। এই কুপরিবাহক কাচ দিয়ে হ্যারিকেনের চিমনি তৈরি হয়। হ্যারিকেনের শিখার তাপে চিমনি উত্তপ্ত হয়ে প্রসারিত হয়। যখনই গরম চিমনির উপর ঠান্ডা পানি পড়ে তখন চিমনির বাহিরের অংশ সংকুচিত হয় কিন্তু ভেতরের অংশ একই সময় সংকুচিত হতে পারে না।এই অসম সংকোচনের ফলে গরম হ্যারিকেনের চিমনির ওপর ঠান্ডা পানি পড়লে চিমনি ফেটে যায়। 

 

কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন এবং  পরবর্তী এ্যাসাইনমেন্টগুলো পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ। 

আগের পোস্টটি পড়তে ক্লিক  করুন। 

Related Posts

7 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.