ষষ্ঠ সপ্তাহের সপ্তম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন
আপনারা সকলে নিজ নিন অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়।

এসাইনমেন্ট সিরিজের উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতাউ আজ আমি নিয়ে এসেছি ৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্যবিজ্ঞান এসাইনমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।

#৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্যবিজ্ঞানঃ
১.প্রতিবন্ধি শিশুদের প্রতি আমরা কি কি ধরণের দায়িত্ব পালন করতে পারি তা পাঠ্যবইয়ের আলোকে মূল্যায়ন কর।
উত্তরঃপ্রতিবন্ধির ধরণ অনুযায়ী আমাদের অবশ্যই প্রতিবন্ধি শিশুর বিশেষ শিক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে।যেমনঃ দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতি,শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধির জন্য ইশারায় ভাষা শিক্ষা, বুদ্ধি প্রতিবন্ধিদের নিজের কাজ নিজে করতে পারার প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।এছাড়াও তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের উপার্জন করার জন্য বৃওিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।এসব প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যই থাকে শিশুটি যেন আত্ন নির্ভরশীল হতে পারে।এই কার্যক্রম তখনই সফল হবে যখন শিক্ষকেরা তাদের প্রতি যত্নবান হবে।তাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ কন্ঠস্বর, ধৈর্য, আন্তরিকতা একজন প্রতিবন্ধি শিশুকে প্রশিক্ষণে উৎসাহী করে গড়ে তুলে।স্কুলে আসতে আগ্রহী করে তুলবে।
আমরা প্রতিবন্ধি শিশুর দায়িত্বপালনে যা যা পালনে যা যা করতে পারিঃ
১.যেকোনো সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে তাদের সঙ্গ দেওয়া এবং দেখাশুনার দায়িত্ব নিতে হবে।
২.প্রতিবন্ধি শিশুর ধরণ অনুযায়ী খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে। যেমনঃ দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের গান শুনানো।
৩.আমাদের এলাকার কোন প্রতিবন্ধি দরিদ্র হলে তার জন্য আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিতে পারি।
৪.ছোট শিশুরা প্রতিবন্ধি শিশুকে ভয় পায়। আর এই ভয় দূর করার জন্য আমরা ভূমিকা রাখতে পারি।
৫.প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্য ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে তা সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি।
প্রতিবন্ধি শিশুটির পরিবারের প্রতি যত সম্ভব সহযোগিতার হাত বাড়ানো সম্ভব।আমাদের সব কাজের মধ্যে বুঝাতে হবে যে প্রতিবন্ধি শিশুটির পাশে আমরাও আছি।সমাজের সবার অফুরন্ত ভালোবাসা তাদের এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। তাদের জগৎটাকে সহজ ও সুন্দর করে তুলবে।

২.কোভিড ১৯ মোকাবেলায় কোন খাদ্য গোষ্ঠী খাবার তালিকায় প্রাধান্য পাবে তা বিবেচনা করে তোমার পরিবার উপযোগী ৭ দিনের একটি তালিকা তৈরি কর।
উত্তরঃকোভিড ১৯ মোকাবেলায় যে যে খাদ্য গোষ্ঠী হতে খাবার আমাদের খাবার তালিকায় প্রাধান্য পাবে তা বিবেচনা করে আমার পরিবার উপযোগী ৭ দিনের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হলঃ
১ম দিনঃ
সকালঃরুটি,সবজি,ডিম,কলা
দুপুরঃভাত,সবজি,মাছ,ডাল
রাতঃভাত,মাছ,ডাল,ডিম

২য় দিনঃ
সকালঃখিচুড়ি, ফল,দুধ,চা
দুপুরঃডাল,মুরগি,ডিম, ভর্তা
বিকেলঃভাত,ডিম,ডাল,ভর্তা

৩য় দিনঃ
সকালঃচা,দুধ,রুটি,কলা
দুপুরঃভাত, গরুর মাংশ,ডাল
রাতঃভাত,দুধ,কলা

চতুর্থ দিনঃ
সকালঃরুটি,ডিম,কলা
দুপুরঃভাত,মাছ,ডিম,ভর্তা
রাতঃভাত,মাছ,ভর্তা

৫ম দিনঃ
সকালঃকলা,রুটি, দুধ
দুপুরঃভাত,ভর্তা, ডাল,ডিম
রাতঃভাত,মুরগি,ডিম

ষষ্ঠ দিনঃ
সকালঃদুধ পাউরুটি,কলা
দুপুরঃভাত, মাছ,ডিম,ডাল
রাতঃভাত,মুরগি,ডাল

৭ম দিনঃ
সকালঃরুটি,ডিম,কলা
দুপুরঃভাত,মুরগি,ডাল,ভর্তা
রাতঃভাত,মাছ,ডাল

৩.(ক)ব্যক্তিত্তের সাথে পোষাকের ডিজাইনের সম্পর্ক কি হওয়া উচিত ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃব্যক্তির আচার আচরণ, নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, বহিঃপ্রকাশই তার ব্যক্তিত্ত। ব্যক্তিত্তের সাথে পোষাকের নিবিড় সম্পর্ক আছে।সুন্দর পোষাক রুচিশীল মনের পরিচয় দেয় ব্যক্তির আত্নবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলে।পোশাক ও ব্যক্তিত্ব দুটি একে অপরের পরিপূরক। অর্থাৎ আমার উচ্চতা,আমার নিজের গায়ের রঙ,গঠন,বয়স,মুখের প্রকৃতি ইত্যাদির সাথে লক্ষ্য রেখে পোষাক নির্বাচন করতে হবে।

(খ)কাপড়ে মাড় দিতে হয় কেন?মাড় প্রয়োগের ৫ টি নিয়ম লিখ।
উত্তরঃকাপড়ে মাড় দিতে হয়।মাড়ের ফলে কাপড়ের চাকচিক্য ও উজ্জল্য বৃদ্ধি পায়।কাপড়ে মাড় প্রয়োগে ৫ টি নিয়মঃ
১.কাপড়ে মাড় প্রয়োগের পূর্বে মাড়কে ছাকনি দিয়ে ছেকে নিতে হবে।
২.গরম মাড় কাপড়ে কম ধরে এবং রঙিন কাপড় নষ্ট করে।এ জন্য মাড় ঠান্ডা করে ব্যবহার করতে হয়।
৩.ভারি কাপড় হাল্কা ও পাতলা কাপড়ে ঘন মাড় দিতে হয়।
৪.কাপড় উল্টো করে ভিজাতে হয়।
৫.সাদা ও নিল কাপড়ের ক্ষেত্রে নীল প্রয়োগ করে কাপড় ভিজিয়ে রাখলে নিলে ছোপ ছোপ দাগ পরে না ও কাপড়ের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়।

ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

1 Comment

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.