Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

শিশুদের জন্য ইন্টারনেটের ক্ষতিকর দিক। কিভাবে সেইফ ইন্টারনেট নিশ্চিত করবেন।

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আপনারা সবসময় ভাল থাকেন এটাই কাম্য। আমরা সবাই জানি যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের জীবনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখন ইন্টারনেট ছাড়া যেন চলেই না।স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্লাস থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট, ফর্ম পুরন,বই প্রায় সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে।যুগ এখন এতটাই এগিয়ে গেছে যে শুধু বড়রাই যে ইন্টারনেটে ব্যাবহার করছে তা কিন্তু নয়, ছোটরাও পিছিয়ে নেই।অনেক শিশুরাও এখন নেট ব্যাবহার করে।এটা যেমন একটি ভাল দিক তেমন এর ভেতরে ঝুকি ও আছে।আমরা সবাই তো জানি যে ইন্টারনেটের ভাল ও খারাপ দিক উভয়ই আছে।আমাদের শিশুরা যদি কোনোভাবে এই খারাপ দিকের প্রতি ঝুকে পড়ে তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়তে হবে।আমরা চাইলেই আমাদের বাচ্চাদের জন্য সেইফ ইন্টারনেট দিতে পারি।কভাবে দিতে পারি সেটা যেমন জানাবো আবার জানাবো এর ক্ষতিকর দিকগুলো।আসুন আগে জেনে নিই এর খারাপ দিকগুলো –
– অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যাবহার বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ঝুকিতে ফেলে দেয়।
-মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে আসে।
-চোখের কার্যক্ষমতা ও হ্রাস পায়।
-মানসিক অবস্থা দিন দিন আত্বকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে।বাইরের দুনিয়া থেকে সাইবার দুনিয়া কে বেশি প্রাধান্য দিতে থাকে যার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
-অনেকে ইন্টারনেটের বাজে দিক সম্পর্কে অবগত হয়ে যায় এবং সেদিকে ঝুকে পড়তে পারে।
-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে।
-পড়াশোনা তে মনযোগী হতে পারেনা।
-চিন্তাধারা সব এককেন্দ্রিক হয়ে পড়ে।
এরকম আরো বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাইতো আমাদের উচিত আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য সেফ ইন্টারনেট নিশ্চিত করা।এখন জানাবো এর জন্য কি কি করা উচিত-
-বাচ্চাদের সবসময় ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে না দেওয়া।
-এন্ড্রুয়েড ফোন একবারে দিয়ে না দেওয়া।
– কখন কি ব্রাউজ করছে তা সম্পর্কে খোজ খবর রাখা।
– ইন্টারনেট গেমিং এ বেশি টাইম না দিয়ে বাইরে গিয়ে খেলাধুলার ব্যাবস্থা করে দেওয়া।
-ইন্টারনেটে যে সকল শিক্ষনীয় বিষয় আছে সেগুলো শিখিয়ে দেওয়া।
-ক্লাসের লেসন ও আজকাল ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়।সেগুলোর খোজ করে দিতে পারেন।
– কতক্ষন ব্রাউজ করছে তার টাইম কমিয়ে দিন।
এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আমাদের সন্তানের,ছোট ভাই বোনেরা এই তথ্য প্রযুক্তির যুগেও কতটা ঝুকির ভেতরে আছে।আমাদের সচেতনতাই পারে তাদের কে সব ঝুকি থেকে মুক্তি করতে।আজকের শিশুরাই তো আমাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। তাদেরকে আমাদের ই রক্ষা করতে হবে।
তো আজকে এই পর্যন্তই। আমার পোস্ট যদি ভাল লাগে তাহলে কমেন্ট করুন।আর শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন।যত শেয়ার করবেন সবাই তত বেশি জানবে।
আল্লাহ হাফেজ।

Marketing

Related Posts

11 Comments

Leave a Reply