কিভাবে কঠিন কাজ সহজে করা যায় তার উপর পরীক্ষিত এই পদ্ধতিগুলাে যাচাই করে দেখুন।

কিভাবে কঠিন কাজ সহজে করা যায় তার উপর পরীক্ষিত এই পদ্ধতিগুলাে যাচাই করে দেখুন।এগুলাে আপনাকে সহজ শিথিল হতে এবং সহজ শক্তি পেতে সাহায্য করবে।এরকম ধারনা করবেন না যে দানবের মতো এই বিশাল পৃথিবীকে আপনি নিজের কাঁধে বয়ে বেড়াচ্ছেন। অত্যধিক চাপের মধ্যে থাকবেন না নিজেকে খুব গুরুত্বের সাথে নেবেন না। নিশ্চিত হােন যে আপনি যে কাজ করছেন তা আপনার মনের মত। তাতে কাজটি আপনার জন্য আনন্দ বয়ে আনবে। একগুয়ে অণুভূতি নয়। সম্ভবত আপনার কাজটি পরিবর্তন করা প্রয়ােজন নেই। যদি করতেই হয় তবে নিজেকে পরিবর্তন করুন, তাতে আপনার কাজটি অন্যরকম লাগবে। প্রথমে কাজের পরিকল্পনা করুন তারপর পরিকল্পনাকে কাজে লাগান। পদ্ধতির অভাববােধ থেকেই আমি বিপদাপন্ন’ এমন অনুভূতি আসে। তড়িঘড়ি করে কোনাে কিছু করতে চেষ্টা করবেন না। তার কারণ হলাে, সময় বিস্তৃত। বাইবেলের সেই জ্ঞানগর্ভ উপদেশটির দিকে মনােযােগ দিন: “এই একটি কাজই আমি করি।” সঠিক মানসিক অবস্থায় আসুন, মনে রাখবেন যে আপনার কাজের স্বাচ্ছন্দ অথবা কাঠিন্য নির্ভর করে যে আপনি কিভাবে তা খুঁজস।
যদি ভাবেন কাজটি কঠিন, তবে আপনি তা কঠিনই করে ফেলছে সহজ, তবে তা সহজ, সমাধানের পথেই যাবে। আপনার কাজে দক্ষ হয়ে উঠুন আপনি। “উতই শক্তি’ (আপনার কাজের ক্ষেত্রেও)। যদি কোন কাজ সঠিকভাবে করে তবে তা করতে সহজই মনে যদি ভাবেন কাজটি হবে। সহজ শিথিল থাকতে অনুশীলন। সবসময় সহজেই সবকিছু করুন। চাপ প্রয়ােগ কিংবা জোর খাটাবেন না। আপনার চলনের সাথে একে খাপ খাইয়ে নিন।
আজ যা করতে পারেন তা কালকের জন্য ফেলে রাখবেন না এবং এর জন্য নিজেকে সুশৃঙ্খল করে তুলুন। অসমাপ্ত কাজ জড়াে হতে হতে দেখবেন আপনার কাজকে কঠিন করে তুলছে। সময়মত সব কাজ সম্পন্ন করুন। আপনার কাজের জন্য প্রার্থনা করুন। কারণ এর মধ্য দিয়ে কাজটি করার জন্য আপনি সহজ দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। | সেই মহান অদৃশ্য অংশীদারকে (ঈশ্বরকে) আপনার সাথে আছে বলে অনুভব করুন। এটা ভাবতে বিষ্ময়কর মনে হয় যে, তিনি আপনার ভার নিজের হাতে তুলে নেবেন। বিধাতা যেমন উপসনালয়ে থাকেন কিন্তু একইভাবে তিনি আপনার বাড়িতে, অফিসে, কলকারখানায় স্টোরে এবং রান্নাঘরেও থাকেন। আপনার কাজ সম্পর্কে আপনি যতটা জানেন তার চেয়ে বেশি জানেন বিধাতা।