আসুন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা জানি ….

যা মানুষের শরীরকে অসুস্থ করে।

১. অতিরিক্ত কথা বলাঃ কথায় আছে, সবকিছুই পরিমিত হওয়া ভালো। পরিমিত পরিমানের অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো ও সুখকর নয়। বেশি কথা বলাও এর আওতায়। কেউ যদি মাত্রাতিরিক্ত কথা বলে তবে বুঝে নেওয়াই যায় সে পুরোপুরি সুস্থ্য নয়।

২. অতিরিক্ত ঘুমানোঃ বয়সভেদে নারী ও পুরুষের আলাদা আলাদা ঘুমের সময়সীমা রয়েছে। এর কম ঘুমালে যেমন শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে, তেমনি এই সময়সীমার অতিরিক্ত ঘুমালে একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে।

৩. অতিরিক্ত খাওয়াঃ সবকিছুর মতোই পরিমিত খাবার গ্রহন করা শরীরের জন্য ভালো। অতিরিক্ত খাবার গ্রহনে শরীরে অসস্তি ছাড়া সস্তি পাওয়া যায়না। পরিমিত খাবার বলতে পেটের চার ভাগের এক ভাগ খালি রেখে খেতে হবে। তাহলেই শরীর সুস্থ থাকবে।

৪. অতিরিক্ত চিন্তাঃ অতিরিক্ত চিন্তা বা টেনশন অবশ্যই শরীর ও স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকারক। এটি একটি অশান্তিদায়ক বিষয়। টেনশন করে শরূর ও সাস্থ্য ভেঙে পড়ে। নানা ধরনের অসুখ বিসুখ হয়।

যা মানুষের শরীরকে ভেঙ্গে দেয় …..

১. উদ্বেগঃ উদ্বেগ দুশ্চিন্তার মতোই একটি বিশেষ রোগা অবস্থা যা একবার মনে প্রবেশ করলে শরীর ও স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ ধীরে ধীরে রোগাক্রান্ত হয়।

২. বিষণ্ণতাঃ বিষন্নতায় একবার যারা মজেছে কেবল তারাই বুঝে এক যন্ত্রণা কতটুকু। অবসাদ মনে খাওয়া দাওয়ার খেয়াল থাকেনা ফলে তার প্রভাব শরীরের উপর পড়তে থাকে।

৩. ক্ষুধাঃ এ রকম অনেককেই দেখা যায় যারা পেটে ক্ষুধা নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। কাজকে প্রাধান্য দিয়ে পেটকে কষ্ট দেয়। যার ফলে অসময়ে খাবার খায়। এ অবস্থায় ঐ লোকটির শরীরের উপর ভঙ্গুর দশা পরিলক্ষিত হয়।

৪. রাতে দেরিতে ঘুমানোঃ এমন অনেকেই আছে যারা কোনো কাজ ছাড়াই অযথা রাতে ঘুমাতে দেরি করে। আবার দেরি করে ঘুমানো কারও কারও অভ্যাস। এমন অভ্যাসের লোকেদের স্বাস্থ্য ভালো থাকেনা।

যা মানুষের মুখের সুশ্রী কেড়ে নেয় …..

১. মিথ্যাবাদিতাঃ একজন মিথ্যাবাদী লোকের চেহারায় সুশ্রী থাকেনা। মিথ্যা বলার কারনে তার চেহারা দিন দিন নষ্ট হতে থাকে।

২. বেহায়াপনা/লজ্জাহীনতাঃ মুখের শ্রী নষ্ট হওয়ার জন্য একজন মানুষের বেহায়াপনা, লজ্জাহীনতা ও অশ্লীলতাই যথেষ্ট।

৩. অযথা বিতর্ক করাঃ অযথাই বিতর্কে জড়ানো এখন আমাদের সমাজের কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুন্দর চেহারা ধরে রাখার জন্য হলেও আমাদের অযথা বিতর্ক এড়িয়ে চলা উচিত।
৪. ব্যভিচার করাঃ ব্যভিচার, অনাচার এখন সমাজের কালচার! একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে একজন ব্যভিচারির মুখের চেহারা আস্তে আস্তে বিশ্রী হয়ে যায়।

যা মানুষের মুখের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে …..

১. ধার্মিকতা/ধর্মানুরাগ/কর্তব্যনিষ্ঠাঃ মুখের শ্রী ধরে রাখতে ধার্মিক হওয়াটাও জরুরি।
২. বিশ্বস্ততাঃ বিশ্বস্ততা অর্জন করা গেলে মানুষ দোয়া ও শুভ কামনা পাওয়া যায়। যার লক্ষন মানুষের চেহারায় ফুটে উঠে।
৩. মহত্ত্ব/দয়াশীলতাঃ মানুষ হিসেবে নিজের মুখের রুপ ধরে রাখতে আশেপাশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে।
৪. অন্যের প্রতি সহায়ক হওয়াঃ যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্যকে সহায়তা করলে তার ফলস্বরূপ চেহারার ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়।

যা মানুষের রিজিক হ্রাস করে …..

১. সকালে ঘুমানোঃ সকালে ঘুমানো ব্যাক্তি তার দিনের কাজ সারার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়না তাই এ অভ্যাস তার রিযিকের উপর প্রভাব ফেলে।
২. নিয়মিত নামাজ না পড়াঃ নামাজ আদায় করলে চেহারায় নুর পরিলক্ষিত হয়। কারন, প্রতিবার নামাজের আগে ওযু করার কারনে তার চেহারায় ময়লা জমে থাকতে পারেনা।
৩. অলসতাঃ অলসতা করে ভালো ও ধর্মীয় কাজ না করলে তার প্রভাব পড়ে চেহারার উপর।
৪. বিশ্বাসঘাতকতা/অসাধুতাঃ এটি নিঃসন্দেহে বলা যায় যে কারও প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করলে স্বয়ং আল্লাহ তার চেহারায় সিল মেরে দেয়।

যা মানুষের রিজিক বৃদ্ধি করে …..

১. গভীর রাতে (নফল) নামাজ পড়াঃ নফল নামাজ পড়লে উপহারস্বরুপ আল্লাহ তার রিযিক বাড়িয়ে দেন।
২. আল্লাহর কাছে অত্যাধিক অনুতাপ করাঃ সারাদিনে করা পাপের জন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে আল্লাহর কাছে কৃতকর্মের জন্য মাফ চেয়ে নিলে এবং অনুতপ্ত হলে আল্লাহ রিযিক বাড়িয়ে দেন।
৩. নিয়মিত দান-সদকা করাঃ তোমার যা আছে তা থেকেই দান কর। এই মন্ত্র মনে পোষন করলেও আল্লাহ রিযিক বাড়িয়ে দেন।
৪. বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ করাঃ জিকিরের সাথে থাকলে আল্লাহ তার রিযিক বাড়িয়ে দেন।

আসুন, নিজে ভাল কাজ করি ও আরেকজনকে ভাল কাজে উৎসাহিত করি।

Related Posts

10 Comments

Leave a Reply

⚠️

Ad Blocker Detected

Our website uses advanced technology to provide you with free content. Please disable your Ad Blocker or whitelist our site to continue.